চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: আমদানি নিষিদ্ধ ৩৯ মেট্রিক টন ঘনচিনি আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিনগেশন ও রিসার্চ (এআইআর) টিম খালাসের শেষ মুহূর্তে পণ্যের এই চালানটি আটক করে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার বংশালের এসপি ট্রেডার্স পলি এলুমিনিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় চীন থেকে তিনটি কন্টেইনারে ৬৩ মেট্রিক টন পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করে। চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে সি বার্ড কর্পোরেশন ‘বিল অব এন্ট্রি’ দাখিল করে।
পণ্য চালানটি খালাসের জন্য ট্রাকে লোড করার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস পণ্যের খালাস স্থগিত করে। সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা করা হয় ও পরীক্ষাকালে দুই ধরণের পণ্যের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে এর নমুনা উত্তোলনপূর্বক চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে দুই শ্রেণির পণ্যের মধ্যে একটিতে ২৪ মেট্রিক টন পলি এলুমিনিয়াম ক্লোরাইড পাওয়া গেলেও বাকি ৩৯ মেট্রিক টন পণ্যকে ঘনচিনি হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক এবং শিশু খাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুসারে পণ্যটিকে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী পণ্যচালানটি কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ







