চট্টগ্রামে চড়া মাছ-মুরগির দাম, সবজিতে মিলছে খানিকটা স্বস্তি

সরোজ আহমেদ : চট্টগ্রামে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তবে মুরগীর দাম কিছুটা বাড়লেও গরুর মাংস স্থিতিশীল অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ভারত থেকে চাল আমদানির প্রভাবে বাজারে কোন কোন চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা কমেছে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নগরের বকসির হাট, চকবাজার, বহদ্দারহাট ও কাজীর দেউড়ি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজারে এ সপ্তাহে কমে বেগুন ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁকরোল, পটল ১০০ টাকা থেকে কমে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০০ টাকা থেকে ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ১৬০ টাকা থেকে কমে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা এবং কচুরমুখী, লাউ, মূলা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। গাজর ১৬০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, শালগম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতা প্রতিকেজি ১৫০ টাকা আর শাকের মধ্যে কচুশাক ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া শাক ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও লালশাক ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুপচান্দা ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, আইড় ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লইট্যা ও ফাইস্যা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পোয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কোরাল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) আকারভেদে ৬৫০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে। পাবদা ছোট আকারের ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙ্গাস, সিলভার কার্প মিলছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়।

বাজারে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকা দরে। পাকিস্তানি কক ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি মোরগ ৬৫০ টাকা এবং জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। অন্যান্য মাংসের মধ্যে গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, খাসি ও পাঁঠা ছাগলের মাংস ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৮০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২৩০ টাকা ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। আদা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এখন নাজিরশাইল চাল ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও তা ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের মধ্যে পাইজাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়, যা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে এমন চড়া দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। দিদারুল আলম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘চিংড়ি মাছ আস্তে আস্তে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সপ্তাহে একদিন বাজারে এসেও মাছ কিনতে পারছি না। মাছের মতো মুরগির বাজারও চড়া। প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণে কিনতে হচ্ছে।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top