চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্টে হওয়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনে সারাদেশে ৩ লাখ ৫ হাজার ১১ রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল পুলিশ। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকা শহরে ব্যবহার করা হয়েছিল ৯৫ হাজার ৩১৩ রাউন্ড।
আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৫৪তম ও সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দীতে এসব তথ্য জানান জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর।
ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ জবানবন্দী দেন মো. আলমগীর। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মো. আলমগীর এর আগে গতকাল রবিবার প্রথম দিনের জবানবন্দী দেন। আজ দ্বিতীয় দিনের জবানবন্দী চলে এবং তা অসমাপ্ত রেখে শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে মো. আলমগীর বলেন, তার তদন্তকালে তিনি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জুলাই আন্দোলন দমনে ছাত্রজনতার ওপর ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি সংক্রান্ত ২২৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পান। এতে দেখা যায়, এলএনজি, চাইনিজ রাইফেল, শর্টগান, রিভলবার, পিস্তলসহ বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্র ব্যবহার করে শুধু ঢাকা শহরে ৯৫ হাজার ৩১৩ রাউন্ড ও সারাদেশে ৩ লাখ ৫ হাজার ১১ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা হয়।
তিনি বলেন, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও তিনি পেয়েছেন। এ ছাড়া র্যাব সদর দপ্তর থেকে হেলিকপ্টার ব্যবহার সংক্রান্ত প্রতিবেদন পান গত ১৪ জানুয়ারি। ৮১টি অজ্ঞাতপরিচয় লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নেন ৭ মে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে আন্দোলন দমনে শান্তিপূর্ণ ছাত্রজনতার ওপরে ব্যাপক মাত্রায় প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ