ক্রীড়া ডেস্ক: নেপালে যখন বাংলাদেশ ফুটবল দল, তখনই পাহাড়ঘেরা দেশটিতে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। রক্তক্ষয়ী এই বিক্ষোভের সময় হোটেলে বন্দী ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যরা। এসব দৃশ্য দেখে এক প্রকার ট্রমায় চলে যান জামাল ভূঁইয়ারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় পা রাখেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। তাদের ট্রমা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে মনোবিদ নিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমাদের চিকিৎসার প্রক্রিয়া রয়েছে। সেখানে অবশ্যই আমরা মানসিক কোচিং, সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেব যাদের প্রয়োজন হয়। যাদের লাগবে না, তাদেরও আমরা অ্যাসেসমেন্ট করব কারণ অনেক সময় এ রকম পরিস্থিতিতে ফিজিক্যাল শক হয়। আমরা এই বিষয়ে সচেতন রয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের মেডিকেল টিম প্রস্তুত ছিল ফুটবলারদের বিশেষভাবে চিকিৎসাজনিত কিছু প্রয়োজন হলে।’
বিক্ষোভের আগুন পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশের টিম হোটেলের পাশেও। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আছেন বলে পরে তারা চলে যায়। তাবিথ বলেছেন, ‘আমাদের টিম হোটেলের পাশে আগুন লেগেছিল। আমরা কিন্তু আগেই আমাদের টিমের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় লোকেশন ঠিক করে রেখেছিলাম।’
জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে দেশে ফেরানো হয়েছে ১৭ জন সাংবাদিককেও। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘সবাই মিলে আমরা ফুটবল ও ক্রীড়া পরিবার। শুধু ২৩ জন ফুটবলার নন, মিডিয়াসহ সবাইকে নিয়েই আমরা ফুটবলাঙ্গন। যখন আমরা রেসকিউ মিশনের পরিকল্পনা করেছি, তখন কাঠমান্ডুতে থাকা মিডিয়ার ভাই-বোনদের নিয়েই কাজ করেছি।’
ফুটবলারদের ঢাকায় ফেরাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাবিথ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, পররাষ্ট্র ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ দূতাবাস কাঠমান্ডুর সবাই আন্তরিকভাবে সহায়তা করেছে। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, আর্মি এবং আর্মড ফোর্সডকে, যারা সফলভাবে কাঠমান্ডু থেকে সবাইকে নিয়ে দেশে এসেছে।’
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ