চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজারের মহেশখালীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মামুন (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মামুন উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা এলাকার মৃত রসু খার ছেলে।
সোমবার (৫ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের মারাক্ষা ঘোনা এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়— রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভোররাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আজ মঙ্গলবার ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামুনের সঙ্গে স্থানীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই উকিল আহমেদ জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে খুব কৌশলে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হত্যা করেছে। সে কক্সবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিপক্ষের হাতে তার পিতা রসু হত্যা হলে নিহত মামুন পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৬টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার পেছনে উত্তর ঝাপুয়া, আঁধারঘোনা ও মিজ্জিরপাড়া পাহাড়ে আস্তানা করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা জড়িত রয়েছে বলে তার ধারণা।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রুহুল কাদের বাবুল জানান, পরিকল্পিত সিরিজ হত্যা চলছে নিয়মিত। প্রশাসন নীরব কেন, জনগণ জানতে চাই। গত মাসে একই কায়দায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপির নিবেদিত কর্মী আবু আহমেদ মারা যায়। পুলিশ এর দায় এড়াতে পারেনা। আঁধারঘোনা ও মিজ্জিরপাড়া পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের অবস্থান। সেখানে অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ জানান, হত্যার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ