এবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চিত্রনায়িকা পপি

বিনোদন ডেস্ক: যেহেতু মা, ভাই ও বোনেরা আমার মান-সম্মানের কথা একবারও ভাবেনি এবং আমার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেনি, তাই আমার প্রাপ্য জমি কখনোই ছেড়ে দেব না। প্রয়োজনে আমার হক এতিমখানা কিংবা মাদরাসায় দেব, কিন্তু তাদের আর নয়।

কোনো নিমকহারামকে দেব না। আমার ৩০ বছরের কষ্টের মূল্য তারা দেয়নি। আমার সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাদের এখন ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। অনেক ছাড় দিয়েছি। ছাড় দিতে দিতে এবং পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে করতে আজ আমি নিঃস্ব। আমার কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে কেনা জমি ফেরত পেতে মামলা করব,’─ মা, ভাই ও বোনদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি।

পারিবারিক বিরোধের জেরে সম্প্রতি হঠাৎ করে আলোচনায় আসেন পপি। বিরোধের সূত্রে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেছেন এই নায়িকার বোন ফিরোজা পারভিন খেয়ালি। একসময় তিনিও ‘ভুল’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্রে নায়িকা হয়েছিলেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকতেন পপি। কখনো দ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া যায়নি।

হঠাৎ করেই পপির পারিবারিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় তাই অনেকে হতবাক হয়েছেন। বাবার ছয় কাঠা জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে পপির নামে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ছোট বোন ফিরোজা পারভিন। এরপর পপিও একই থানায় মা, ভাই ও বোনের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এরপর এক মাস পেরিয়ে গেছে। সাধারণ ডায়েরির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে পপি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। আমার করা সাধারণ ডায়েরি তদন্তাধীন। আইনিভাবেই লড়াই করব। বর্তমানে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্যায়ভাবে আমার জমি দখলে রেখেছে। ছয় কাঠা জমির দলিল আমার নামে। সামনের অংশের জমিতে ভাগ পাব। কিন্তু সব কিছু মা-বোনেরা দখলে রেখেছে। সামনে যে ঘর তুলেছিলাম, তা থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা ভাড়া আসে। সব তারাই নেয়।’

মায়ের বিরুদ্ধে সংসার ভাঙার অভিযোগ এনে পপি বলেন, ‘নিজের কোনো শখ-আহ্লাদও পূরণ করিনি। নিজের সবটা দিয়ে পরিবারকে দেখেছি। সেই মা আমার স্বামী ও সন্তান নিয়ে মিডিয়ায় ছোট করেছে। আমি চেয়েছিলাম সময়-সুযোগ বুঝে স্বামী-সন্তান নিয়ে কথা বলব। কিন্তু খুব বাজেভাবে স্বামী ও সন্তানকে উপস্থাপন করেছে। আমি বিয়ে করে সংসারী হয়েছি। আমার শেষ আশ্রয় যেটা ছিল, যে আমাকে আশ্রয় দিয়েছে; জীবন বাঁচাতে দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু সেই মানুষটাকেও অসম্মান করেছে। সংসার নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এটা পৃথিবীর কোনো মা করতে পারে না। শ্বশুরবাড়ি ফোন করে নানা মিথ্যাচার করেছে। আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য বলেছে। যাদের উপকার করেছি, তারা আমার ক্ষতি করছে।

শ্বশুরবাড়িতে যে সম্মানে থাকব তা-ও দিচ্ছে না। প্রতিনিয়ত অসম্মানিত করছে। এ জন্য উঠতে-বসতে কথা শুনতে হয়। বিয়ে করেছি, সামনে আনিনি। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। অন্যায় কিছু করিনি। প্রতিটি মানুষের একট ব্যক্তিগত বিষয় থাকে। আমি চাইনি আমার ব্যক্তিগত বিষয় মিডিয়ায় আসুক।’

তবে পপির অভিযোগ সত্য নয়, দাবি মা ও বোনের। পপি বলছেন তার কাছে জমি ক্রয়ের দলিল এবং তার ব্যাংক থেকে বোনের ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করার স্টেটমেন্ট রয়েছে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top