ভুয়া জামিননামায় চার আসামির মুক্তি

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : হবিগঞ্জ কারাগার থেকে জামিননামা জালিয়াতি করে মাদক মামলার চার আসামি বের হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বুধবার (29 জানুয়ারি) তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান।

আসামিরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সিমছাইপৈর গ্রামের রুয়েল (২৬), কিরদাকাপন গ্রামের হোসেন আফজল (২২), শানিগঞ্জ উপজেলার পাগলা গ্রামের আজাদ (২৩), বীরগাঁও গ্রামের শোয়েব মিয়া (২৭)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি সকাল পৌনে ৭টার দিকে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলক্রসিং মসজিদের সামনে একটি প্রাইভেটকার আটক করে র‌্যাব ৯ সিপিসি শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প সদস্যরা। এ সময় গাড়ি তল্লাশি করে ২টি পাটের বস্তায় ৮ পুটলায় ৩৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা। র‌্যাব গাঁজাসহ উল্লেখিত চারজনকে আটক করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গত ৮ জানুয়ারি আইনজীবী ফয়সল আহমেদ আসামিদের জামিনের জন্য আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৬ জানুয়ারি দায়রা জজ আদালতে মিসমামলা করেন ওই আইনজীবী। ২৬ জানুয়ারি মামলাটি শুনানি শেষে দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার সার্টিফাইট কপি সংগ্রহ করে হাইকোর্টে জামিন আবেদনের প্রস্তুতি নেন আইনজীবী ফয়সল।

আসামিদের ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য আইনজীবীর সহকারী আসামিদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, আসামিরা জামিন পেয়ে গেছেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে আইনজীবী ফয়সল আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মূলনথি পর্যালোচনা করে দেখেন সেখানে কোনো জামিননামার কপি সংরক্ষিত নেই। পরে তিনি কোর্ট পুলিশ অফিসে ডেসপাস রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখতে পান উল্লেখিত আসামিদের জামিননামা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেল সুপার মুজিবুর রহমান জানান আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যথা নিয়মে জামিননামা কারাগারে নিয়ে আসেন। জামিননামা পরীক্ষা করে আসামিদের গতকাল বুধবার কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, জামিননামায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের সাক্ষর রয়েছে।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির শাকিল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, একাধিকবার কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান জানান, বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে তিনি শুনেছেন।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন

Scroll to Top