পড়া হয়েছে: ১৩
সিপ্লাস ডেস্ক: নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে এবার মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় পণ্য পরিবহনে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি বাজারকে অস্থিতিশীল করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন বাজার কমিটির প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশেষ সভায় তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, ব্যবসায়ীদের পণ্য কেনাবেচার রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। না হলে তাদের জরিমানাসহ শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে, সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আর যে কোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার জন্য ডিএমপি সক্ষম। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করব।’
ব্যবসায়ীরা রসিদ সংগ্রহ করেন না মন্তব্য করে হাবিবুর রহমান বলেন, পণ্য কেনার সময় ব্যবসায়ীদের রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। কারো রসিদ না থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যাতে কোনো সিন্ডিকেট বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে। ব্যবসায়ীদের যেমন রসিদ সংগ্রহ করতে হবে, তেমনি ভোক্তারা যদি চায় সে রসিদ দেখতে পারে। এভাবে একযোগে কাজ করে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী সবসময় বাজারের খোঁজখবর নেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাজারের বিষয়ে খোঁজখবর করেন। বাজার পরিস্থিতি ঠিক আছে কি না জিজ্ঞেস করেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনা-নেয়ায় চাঁদাবাজির প্রসঙ্গে হাবিবুর রহমান বলেন, আগে রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির দৃশ্য দেখা যেত। বর্তমানে রাস্তায় কোনো হয়রানি বা চাঁদাবাজি দেখা যায় না। তারপরও কেউ অভিযোগ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাজার অস্থিরতার পুরো দায় অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁধে তুলে দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা জানান, ব্যবসায়ীদের যোগসাজশেই অযৌক্তিকভাবে বেড়ে যায় পণ্যমূল্য।
বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারকে পুলিশ সবসময় সাহায্য করবে মন্তব্য করে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। অনেকে গুজব সৃষ্টি করে দেশের বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে আমরা কাজ করব। ভোক্তা অধিদফতর ও জনগণের পাশে পুলিশ সব সময় থাকবে।’
সভায় সবকিছুর আগে দালালি, চাঁদাবাজি বন্ধের পাশাপাশি জোগান ঠিক রাখার তাগিদ দেন ব্যবসায়ীরা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল প্রমুখ।