নিজস্ব প্রতিবেদক: আট মাসে ৩০ পারা কুরআন শরিফ মুখস্থ করেছে ১০ বছরের তাহাজিদ হোসেন। এক বছর বয়সে মাকে হারিয়েছিল সে।
বাবা ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে শয্যাশায়ী। মামা শহীদুল ইসলামের সহায়তা ও শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আশেক এলাহীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় হাফেজ হয়েছে তাহাজিদ।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বসুন্ধরা গ্রুপের আয়োজনে হাফেজদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর চট্টগ্রাম জেলা অডিশনে দেখা হয় তাহাজিদের সঙ্গে। তার সুললিত কণ্ঠের তেলাওয়াতে মুগ্ধ হয়েছেন বিচারকরা। পেয়েছে সেরা ৩০ এর ইয়েস কার্ডও।
তাহাজিদরা এক ভাই এক বোন। তাদের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ায়।
হাফেজ মাওলানা আশেক এলাহী গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রামের রাহাত্তার পোলে আমাদের মারকাজুত তাকওয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র তাহাজিদ। সে খুবই বিনয়ী এবং মেধাবী। আট মাসে পবিত্র কুরআন শরিফ হেফজ করেছে সে। তার যে একাগ্রতা তাতে ছয়-সাত মাসে হেফজ শেষ করতে পারত। কিন্তু আমি চেয়েছি একটু ধীরে শেষ করতে। যাতে সে ভালোভাবে ইয়াদ রাখতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ সে ইতিমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় ভালো রেজাল্ট করেছে।
তিনি জানান, মারকাজুত তাকওয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের পাশাপাশি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।