সিপ্লাস ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দু’দেশের আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ৪ জুন। ১০টি ভেন্যুতে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ৩০ জুন শেষ হবে বিশ্বকাপ।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইসিসির একটি প্রতিনিধিদল এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু ভেন্যু পরিদর্শন করেছে। ফ্লোরিডার লডারহিলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়াও টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে মরিসভিল, ডালাস, নিউইয়র্কে।
মরিসভিল ও ডালাসে এখন মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) চলছে। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম, মরিসভিলের চার্চ স্ট্রিট পার্ক এবং নিউইয়র্কের ফন কোর্টল্যান্ড পার্ক এখনো আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদা পায়নি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, এটি বাধ্যতামূলক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (সিডব্লিউআই) ও ইউএসএ ক্রিকেটকে (ইউএসএসি) সঙ্গে নিয়ে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আইসিসি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আঞ্চলিক বাছাইপর্ব খেলে এই সপ্তাহে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার টিকিট পেয়েছে। আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে একটি, আফ্রিকা থেকে দুটি এবং এশিয়া থেকে আরও দুটি দল খেলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে। আঞ্চলিক এই বাছাইপর্বের আগেই ১২টি দল চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ দুটি সংস্করণ থেকে ২০২৪ সালের সংস্করণ আলাদা হবে। আগের দুটি সংস্করণে প্রথম রাউন্ডের পর সুপার টুয়েলভের খেলা হয়েছে। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০টি দল প্রথম রাউন্ডে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৫টি করে দল। আর প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল জায়গা করে নেবে সুপার এইটে। চারটি করে দল নিয়ে দুটি গ্রুপ হবে সুপার এইটে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল জায়গা করে নেবে সেমিফাইনালে।
আইসিসির ২০২৪-২০৩১ বাণিজ্যিক চক্রে ছেলেদের যে আটটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট রয়েছে, তার মধ্যে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রথম আসর। ২০২১ সালে এই চক্র চূড়ান্ত করা হয়। দুটি লক্ষ্য সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক বানিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের সম্প্রসারণে উত্তর আমেরিকার বাজারকে সম্ভাবনাময় মনে করছে আইসিসি। সঙ্গে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় আইসিসি।