সিপ্লাস ডেস্ক: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা ধরে রাখতেই ভারতে পা রেখেছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম। তবে চলমান বিশ্বকাপে সুবিধা করতে পারছে না তারা। চার ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র একটিতে, হেরেছে তিনটিতে। জয়ের ধারায় ফিরতে আজ দলটি মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কার। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটিতেও জ্বলে উঠতে পারলেন না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
লঙ্কানদের বোলিং তোপে ৩৩.২ ওভারে মাত্র ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় জস বাটলাররা। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাদের সপ্তম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৫৪ রানে অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় জয় পেতে লঙ্কানদের লক্ষ্য ১৫৭ রান।
ব্যাঙ্গালুরুতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা ভালোই করে ইংল্যান্ড। ডেভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টোর ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বিশ্বকাপ দলে ফেরা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ২৮ রান করা মালানকে কট বিহাইন্ড করেন তিনি।
এরপর জো রুট পড়েছেন রানআউটের ফাঁদে। ১০ বলে ৩ রান করা ইংলিশ ব্যাটিং স্তম্ভকে ফেরানোর পেছনেও অবদান ম্যাথুসের থ্রোয়ের। ৫৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ইংলিশরা। এরপর কাসুন রাজিথার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টোও (৩১ বলে ৩০)। দলের হাল ধরতে পারেননি জস বাটলারও। তাকে ৮ রানে দ্রুত বিদায় করেন লাহিরু কুমারা। লিভিংস্টোন বিদায় নিলে ইংল্যান্ড হারায় তাদের পঞ্চম উইকেট। কুমারার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ৬ বল খেলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
সেখান থেকে দলকে টানছিলেন বেন স্টোকস ও মইন আলি। তবে ৩৭ রান যোগ করতেই মঈন আলীর(১৫) বিদায়ে ভাঙে জুটি। স্টোকসকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন ক্রিস ওকসও(০)। একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্টোকস। দলীয় ১৩৭ রানে ৭৩ বলে ৪৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ৩৩ ওভার ২ বলে ১৫৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার পক্ষে লহিরু কুমারা নেন ৩টি উইকেট।
ইংল্যান্ড একাদশ: জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকস, জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, ক্রিস ওকস, ডেভিড উইলি, আদিল রশিদ, মার্ক উড
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, মহেশ থিকসানা, কাসুন রাজিথা, লাহিরু কুমারা, দিলশান মাদুশঙ্কা।