ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: হালদা নদীর চর এলাকায় মিষ্টি আলু চাষ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এই ফসলে খরচ কম বলে এই চাষের প্রতি ঝুঁকছে কৃষকরা।
ফটিকছড়ির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদী, সত্তার ও ধুরুং খালের চরাঞ্চলের চাষিদের আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে মিষ্টি আলু চাষ। নদীর চরে শুকনো মৌসুমে অন্য ফসলের চেয়ে মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এখানে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৬০ হেক্টর। তবে ফলন হয়েছিল এর চেয়েও বেশি। এবার ফটিকছড়িতে ৩ জাতের মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। যার মধ্যে কমলা সুন্দরী, বারি-১৪ ও স্থানীয় জাত উল্লেখযোগ্য।
উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কৃষক আবুল হাশেম বলেন, হালদার নদীর চরে প্রায় ২৫ গন্ডা জমিতে দুই জাতের আলু চাষ করেছি। আশা করছি, তিনগুণ লাভ হবে। অন্য সব ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে মিষ্টি আলু চাষ করছি। আলু বিক্রি করে কুরবানের জন্য গরু ক্রয় করবো।
একই এলাকার হালদা পাড়ের কৃষক আলমগীর জানান, এবার তিনি মুলার পাশাপাশি মিষ্টি আলু চাষ করেছে। বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়। ভালো ফলনও হয়েছে। যদি সরকারী সুযোগ সুবিধা পায় সামনে আরো বেশি চাষ করা যাবে।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানো জামান চাটগাঁ নিউজকে জানায়, ফটিকছড়িতে গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর মিষ্টি আলুর চাষ ভালো হয়েছে। কৃষকরা বিস্তীর্ণ বালু মাটির চর এলাকা মিষ্টি আলু চাষের আওতায় এনেছে। আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পাচ্ছেন। এখানে রোগ বালাইও নেই তেমন। ফটিকছড়িবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আলু সাইজ হচ্ছে ২০০-২৫০ গ্রাম তবে ফটিকছড়ির এলাকার আলু এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়। এখানকার মাটি সবচেয়ে ভালো আলু চাষের জন্য।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর