ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : এবারের বন্যায় ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে। হালদা নদী ও ধূরুং খালের পাঁচটি স্থানে ভাঙ্গনের ফলে ইউনিয়ন জুড়ে এহেন কুৎসিত চিত্র ফুটে উঠেছে।
ভয়াবহ বন্যা থেকে রক্ষা পায়নি বসত ঘর, রাস্তাঘাট, রোপা আমন, খেতের ফসল। সবখানে বিরাজ করছে ধ্বংসের চিহ্ন। বন্যার রেখে যাওয়া এসব চিহ্ন দেখে হতবিহবল হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের পশ্চিম সুন্দরপুর আজিমপুর,ইয়াছিন নগর, হাড়িঘাটা, ভাঙ্গা মসজিদ পাঁচপুকুরিযা, আলমের ঘোনা, কান্দিররপাড়, টাইগার ক্লাব এলাকায় সবচেয়ে বেশী প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় স্থান ভেদে পানির উচ্চতা ছিল ৫ থেকে সাত ফুট পর্যন্ত। যার ফলে একানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট পুল, কালভার্ট ভেঙ্গে ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে। পাশাপাশি বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে সবকটি বিলের রোপা আমন । পুকুর, জলাশয় মৎস ঘেরেও একই অবস্থা দেখতে পাওয়া যায়।
এছাড়া সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে হালদার কুল ঘেঁষা ৬ নং ওয়ার্ডে। সেখানে হালদা নদীর দুই কিলোমিটার অংশজুড়ে বেঁড়ি বাঁধে তিনটি ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। নদী ভাঙ্গেেন ঘর বাড়ি ছাড়তে হয়েছে শত শত পরিবারকে। এসময় অনেককে। নদীপাড়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতেও দেখা যায়।
এদিকে, পানি নামতে শুরু করায় আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে ফিরতে শুরু করেছে বাসিন্দারা।
স্থানীয় প্রবীন ব্যক্তি নুরুল ইসলাম বলেন বিগত পঞ্চাশ বছরেও এ রকম বন্যা দেখিনি। বন্যায় আমাদের সহায় সম্বল শেষ। হয়ে গেছে। এখন কি করব ভেবে পাচ্ছিনা। চারিদিকে যেন অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি।
৬নং ওয়ার্ডেরর ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল বলেন অনেক কষ্ট করে গ্রামীণ রাস্তা ও কালভার্ট গুলো উন্নয়ন করেছি। এখন বন্যায় সব ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে। বেঁড়িবাঁধ গুলো অরক্ষিত থাকায় ফের বন্যার আশঙ্কা করছেন তৃণমুলের এ জনপ্রতিনিধি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বন্যায় সুন্দরপুরে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ইউনিয়নে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনে কাজ চলছে। নদীর ভাঙ্গনগুলো যাতে দ্রুত মেরামত করা যায় সেটি মাথায় রেখে অগ্রসর হচ্ছি। ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনী ও প্রশাসন সরাসরি কাজ করছে।
চাটগাঁ নিউজ/ফরিদ/এসআইএস