হামুন’র প্রভাবে সেন্টমার্টিনে ভারী বৃষ্টি, বেড়েছে সমুদ্রের পানি

সিপ্লাস ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। এরইমধ্যে বিকেল থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাস। ফলে দ্বীপের অনেক এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ছে। দুপুর থেকে দ্বীপে মাইকিং করে স্থানীয় ও পর্যটকদের সতর্কতাসহ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। সকাল থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন হামুন মোকাবিলায় মিটিং করছে। আর টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে পরিষদের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

চেয়ারম্যান মুজিব বলেন, সোমবার হঠাৎ সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করে। পরে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সকল নৌযান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেইসঙ্গে সেন্টমার্টিনে আসা সকল পর্যটককে সোমবার দ্বীপ ছাড়ার নির্দেশনা দিলে প্রায় ১৪০০ পর্যটক ওইদিন ফেরত যান। তবে শতাধিক পর্যটক দ্বীপে থেকে যান।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হলে আমরা দ্বীপের সব জায়গায় মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করছি।

 

চেয়ারম্যান মুজিব জানান, দ্বীপে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস বইছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি আসায় সাগরে ঢেউ
আগের তুলনায় বাড়ছে। দ্বীপের জেটিঘাটের পাশে থাকা একটি ঝাউগাছ বাতাসে ভেঙে পড়েছে। অন্য এলাকাতেও কিছু গাছপালা পড়ে যাওয়ার খবর শুনছি।

সেন্টমার্টিন টুরিস্ট পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মো. মাহফুজ রহমান বলেন, সোমবার প্রশাসনের ঘোষণার পরও শতাধিক পর্যটক দ্বীপে থেকে যায়। তারা নিজেদের ইচ্ছায় দ্বীপে রয়ে গেছেন। তাদের মাঝে ১০-১২ জন ভারতীয় পর্যটকও আছেন। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল থেকে হোটেলে ও কটেজে গিয়ে কথা বলে সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ খবর নেওয়া হয়। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা ফিরে যাবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলের বাসিন্দা ইসমাইল হোসাইন বলেন, উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টির পাশাপাশি বাতাসও বইছে। বেড়েছে সমুদ্রের পানিও। তবে এখনো পর্যন্ত বড় কোনো সম্যসা দেখা যায়নি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাব মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপসহ সীমান্তের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং করে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Scroll to Top