সিপ্লাস ডেস্ক: সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে বেড়াতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৪ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকাল ৪টায় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুনবাজার পাটলাই নদী দিয়ে ট্যাকেরঘাট পর্যটন এলাকায় যাওয়ার পথে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সোমবার বিকালে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
পুলিশের দাবি, গ্রেফতার ব্যক্তিরা হাওড়ে বেড়ানোর নাম করে এখানে গোপন বৈঠক ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে এসেছেন। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত ও মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলা বাজারের নৌকা ঘাট থেকে রোববার সকাল ৭টায় একটি নৌকায় করে বুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৪ জন শিক্ষার্থী টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে আসেন। ঘোরার পর দুপুরের দিকে পাটলাই নদী দিয়ে ট্যাকেরঘাট পর্যটন এলাকায় যাওয়ার পথে নতুনবাজারের সামনে নৌকাটি আসলে পুলিশের দুটি স্পিডবোট সেটি থামিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের ২৪ জনই বুয়েটের। অন্যরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা হলেন- বুয়েটের শিক্ষার্থী আফিফ আনোয়ার, বখতিয়ার নাফিস, মো. সাইখ, ইসমাইল ইবনে আজাদ, সাব্বির আহম্মেদ, তাজিমুর রাফি, মো. সাদ আদনান, মো. শামীম আল রাজি, মো. আবদুলাহ আল মুকিত, মো. জায়িম সরকার, হাইছাম বিন মাহবুব, মাহমুদুর হাসান, খালিদ আম্মার, মো. ফাহাদুল ইসলাম, তানভির আরাফাত, এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আনোয়ারুল্লাহ সিদ্দিকী, আলী আম্মার মৌয়াজ, মো. রাশেদ রায়হান, সাকিব শাহরিয়ার, ফায়েজ উস সোয়াইব, আবদুর রাফি ও মাঈন উদ্দিন।
অন্যরা হলেন- আবদুল বারি, মো. বাকি বিল্লাহ, মাহাদি হাসান, টি এম তানভির হোসেন, আশ্রাফ আলী, মো. মাহমুদ হাসান, মো. এহসানুল হকন, রাইয়ান আহম্মেদ, তানিমুল ইসলাম ও মো. আবদুল্লাহ মিয়া।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে। থানার এসআই রাশেদুল কবির বাদী হয়ে মামলাটি করেন।