সিপ্লাস ডেস্ক: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে,ডিসেম্বর ২০২২-এ মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের বর্তমানে করণীয় এবং চিকিৎসা সেবায় মেডিটেশন কীভাবে পরিপূরক হতে পারে তা নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স হলে বিশেষ বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার কো-অর্ডিনেসশন এস.এম.সাজ্জাদ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ডা. দেওয়ান ওয়াসিফ জালাল।
সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও উপ পরিচালক ডাঃ শেখ ফজলে রাব্বি।উদ্বেগ, বিষণ্নতা,স্ট্রেস, অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোক জাতীয় সমস্যা নিরসনে বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনকে অন্তর্ভুক্ত করায় স্বাগত জানিয়েছেন দেশবরেণ্য বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।তারা বলেছেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত।চিকিৎসাশাস্ত্রের কারিকুলামেও মেডিটেশন বিষয়কে অন্তর্ভুক্তি জরুরী।সম্প্রতি স্বাস্থ্যসেবায় মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক জারিকৃত পত্রে দেশব্যাপী স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে বিষয়টি অবহিত ‘স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তি: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে চিকিৎসাশাস্ত্র প্রতিনিয়ত আধুনিক হচ্ছে। মেডিটেশন চর্চায় স্বাস্থ্যব্যয় সাশ্রয় হয়, যা জাতীয় স্বাস্থ্যে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।মেডিটেশনকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার আ্হবান জানান তিনি।
সেমিনারে চিকিৎসকরা বলেন, রোগ নিরাময়, প্রতিরোধ ও প্রশমনে মেডিটেশনের ভূমিকা এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত। সারা পৃথিবীতে এটি স্বাস্থ্যসেবারই অংশ। বিজ্ঞানীদের মতে, মেডিটেশন হচ্ছে মস্তিষ্কের ব্যায়াম। দৌড়ালে যেমন পায়ের পেশী শক্তিশালী হয়, সাঁতার কাটলে বাইসেপ শক্তিশালী হয়; তেমনি নিয়মিত মেডিটেশন করলে মস্তিষ্কের কর্মকাঠামো সুবিন্যস্ত, সুসংহত, গতিময় ও প্রাণবন্ত হয়। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য প্রয়োজন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক- এ চার ক্ষেত্রেরই সুস্থতা।
অর্থাৎ টোটাল ফিটনেস। এক্ষেত্রে যোগ-মেডিটেশন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মতামত দেন বক্তারা।