নিজস্ব প্রতিবেদক : এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিকের একজন নুর উদ্দিন। সোমালিয়া জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আজ নুর উদ্দিন চট্টগ্রামের মাটি স্পর্শ করবেন, তাই দুপুর থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরের এক নম্বর ঘাটে আড়াই বছরের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন নুর উদ্দিনের প্রিয়তম স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ২৩ নাবিককে নিয়ে ঘাটে ভিড়ছিলো জাহাজ এম ভি জাহান মনি, ঘাট থেকে একটু দুরেই জাহাজ, নাবিকদের দেখা যাচ্ছে। প্রিয়তম স্বামীকে এক নজর দেখার জন্য তর সইছিলো না জান্নাতুল ফেরদৌসের। তীর থেকে জাহাজে বার বার ফোন করছিলেন। হাত নাড়াচ্ছিলেন। ফোনে স্বামীকেও বলছিলেন একটু যেন হাত নাড়ায়। জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহেদীমাখা হাতের মুহুর্তটি ধরা পড়েছে ক্যামেরার চোখে।
স্বামী জাহাজ থেকে নামার পর স্বামী- স্ত্রী ও পরিবারের সবার আবেগঘন মুহুর্তের পর ২৩ নাবিককে যখন বন্দরের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছিল তখন জান্নাতুল ফেরদৌস তার শিশু সন্তানকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। হাতে মেহেদী পড়ার কারন জানতে চাইলে। জান্নাত বলেন আমার জন্য আজ ঈদের দিন, স্বামী ফিরবেন বলেই গতকাল যত্ন করে মেহেদী পড়েছি। দীর্ঘ দুই মাস ধরে স্বামীর ফেরার অপেক্ষা করছিলাম। যতদিন জিম্মি ছিলেন প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাজে সেজদা করেছি। স্বামীকে যেন সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাই আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করেছি। আল্লাহ আজ স্বামীকে ফিরিয়েছেন।
কথোপকথনের এক পর্যায়ে জান্নাতুল ফেরদৌস জানালেন -তিনি কেক নিয়ে বিজনেস করেন। একজন অনলাইন উদ্যোক্তা। বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা। একদিন ওনার হাতে বানানো কেক খাওয়ারও আমন্ত্রন জানালেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস