স্ত্রীসহ যমুনা অয়েলের সাবেক কর্মকর্তা এমদাদের বিরুদ্ধে মামলা

সিপ্লাস ডেস্ক: চট্টগ্রামে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এর একটিতে স্ত্রী পারভীন হককে প্রধান আসামি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন কার্যালয়টির সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার। এমদাদুল হককে একমাত্র আসামি করে দায়েরকৃত মামলায় তার বিরুদ্ধে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৭৩ লাখ ১১ হাজার ৯২৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।

অন্যদিকে, পারভীন হককে প্রধান আসামি করে দায়ের করা মামলায় পারভীন হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ৭৫ লাখ ৯৭ হাাজর ৯৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। পারভীন হক গৃহিণী। তার আয়ের কোনো উৎস না থাকলেও তিনি স্বামীর অবৈধ আয় থেকে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মো. এমদাদুল হক চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুলতানপুর এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর মেহেদীবাগ এলাকার ইকুইটি ভবনের নিজস্ব ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এমদাদুল হক অবসরে যাওয়ার সময় যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপক (শিপিং) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মামলা দুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাৎ।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদকে জমা হওয়া এক অভিযোগ অনুসন্ধানে গিয়ে যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপক এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পায় দুদক। নিজের পাশাপাশি স্ত্রী-শ্যালকের নামেও তিনি সম্পদের মালিক হয়েছেন। ২০১৯ সালের দিকে এমদাদুল হক ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ জারি করে দুদক। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল তারা দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন।

Scroll to Top