পড়া হয়েছে: ৯
চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ বিয়ে হলো স্বামী স্ত্রীর একটি পবিত্র সম্পর্ক, কিন্তু অনেক সময় এ সম্পর্কে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ হয়। যার পরিণতি বিচ্ছেদ বা তালাক। তবে তালাক হওয়ার পরেও ঝামেলা শেষ হয় না। এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার তাসলিমা আক্তারের জীবনে।
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছে সাবেক স্বামী সাইফুল ইসলাম। ৫ লাখ টাকা না দিলে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে সে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী তাসলিমা আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তাসলিমা আক্তার জানান, আসামী সাইফুল ইসলামের সাথে আমার ২০২০ সাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় ও (সাইফুল) যখন যেটা বলতো আমি তার চাহিদা পূরণের জন্য, তার মন রক্ষার জন্য সেটা করতাম। সে আমার সাথে ভিডিও কলে কথা বলতো। সেগুলো সে স্ক্রিনশট ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিল। ২০২২ সালে আমি তার বিরুদ্ধে একটা মামলাও করেছিলাম, মামলা পর সে আমাকে বিয়ে করে। তবে বিয়ের পর সে আমাকে ভরণপোষণ না দিয়ে উল্টো যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো।
তাসলিমা আরও জানান, বিভিন্ন সময় সে আমার থেকে টাকা আদায়ের উদ্দেশে ছবিগুলো দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতো। আমি তাকে আগেই টাকাপয়সা দিয়ে নিঃস্ব হয়েছি। তাকে আমি আর কোন টাকা দিতে পারছিলাম না বলে আমাকে তালাক দিয়ে দেয়। তালাক দেওয়ার পরে সে বর্তমানে ফেসবুকে বিভিন্ন ফেইক আইডি খুলে আমার সেই পুরোনো গোপন ছবিগুলো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করতেছে। সে আমাকে হুমকি দিচ্ছে আমি তাকে টাকাপয়সা না দিলে আমার ছবি আরো ছড়িয়ে দিবে। আমি তার নামে যৌতুকের একটা মামলা দিয়েছি। মামলাটা যাতে তুলে নিই। আর না নিলে আরও বিভিন্ন মানুষকে ছবিগুলো দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
মামলার বিষয়ে ভুক্তভোগী তাসলিমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম চাটগাঁ নিউজকে জানান, ২০২৩ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। আসামী সাইফুল একটা অঙ্গীকারনামা দিয়েছিল, যে তাকে আর কখনো নির্যাতন করবে না। কিন্তু আসামী তাসলিমাকে যৌতুক আদায়ের জন্য মারধর করায় নিরুপায় হয়ে সে আরেকটা মামলা করে। মামলা করার পরে আসামী সাইফুল ইসলাম আমার মক্কেলের সাথে যতগুলো অশ্লীল ছবি আর ভিডিও ছিল তা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে। যার কারণে আমি মক্কেলের পক্ষ হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে আসামীর বিরুদ্ধে আরও একটা মামলা করেছি। মামলার পর আজকে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ/এসবিএন