নিজস্ব প্রতিবেদক: আনোয়ারা উপজেলার একটি পাহাড় থেকে উদ্ধার হওয়া সেই অজ্ঞাত নারীর পরিচয়ের পাশাপাশি খুনির পরিচয়ও পাওয়া গেছে। আমেনা বেগম (২৩) নামের ওই নারীর খুনি স্বয়ং তার স্বামী। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহায়তায় পুলিশ আঙুলের ছাপ নিয়ে আমেনার পরিচয় শনাক্ত করতে সমর্থ হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই নারী খুন হয়েছেন। তার স্বামী এ ঘটনা সাথে সরাসরি জড়িত। ঘটনার দুই দিন পর বিদেশেও চলে গেছে স্বামী ইয়াসিন আরাফাত।
নিহত নারীর বাবা কামাল উদ্দিন জানান, তার মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে আনোয়ারায় নিয়ে যায় তার স্বামী ইয়াসিন। সেখানে খুন করে লাশ ফেলে রেখে বিদেশে চলে যায় সে। কামাল উদ্দিনের দাবি স্বামীই তার মেয়েকে খুন করেছে।
এদিকে পুলিশ জানায়, আমেনার এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। তার আগের সংসারে দুটি সন্তান আছে। প্রবাসী ইয়াসিন আরাফাতের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু ইয়াসিনের পরিবার আমেনাকে মেনে না নেয়ায় তাকে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন তক্তারপুল নামক এলাকায় বাসা ভাড়া করে রেখেছিল। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ইয়াসিন একজন দুবাই প্রবাসী। কিছুদিন আগে সে দেশে আসে। স্ত্রী আমেনাকে না জানিয়ে আরেকটি বিয়ে করেছিল সে। পরে সেটি আমেনা জানতে পারলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। বেশ কয়েকবার ঝগড়া-হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছিল তাদের মধ্যে।
ওসি আরও জানান, গত মঙ্গলবার আমেনাকে দাওয়াতের কথা বলে আনোয়ারায় নিয়ে যায় স্বামী ইয়াসিন। পরে সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার আবার দুবাই চলে যায় ইয়াসিন আরাফাত। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে আনোয়ারা থানার বৈরাগ এলাকার চায়না ইকোনমিক জোনের নিকটে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাতে পিবিআই আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ/এসএ