চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: খাগড়াছড়িতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে স্কুলের অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রদায়ের মাঝে আবারও দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ সোহেলের মরদেহ খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানকার মর্গেই রাখা হয়েছে সোহেলের লাশ।
এ ঘটনার পরে খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে । তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, নিহত সোহেল প্রতিষ্ঠানটির বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন। ধর্ষণের চেষ্টা করা ভিকটিম একই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী । এরই মধ্যে ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ করে। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষককে অধ্যক্ষের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
অপর এক ভিডিওতে দেখা যায় অধ্যক্ষের রুমে ১০-১৫ জন পাহাড়ি যুবক অভিযুক্ত শিক্ষক সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধাকে জানান, তিনি নিজেও এ ঘটনায় পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিস্তারিত পরে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ