সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ফারজানা আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর হয়েছে। নিহত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও বাবার বাড়ির লোকজন বলছেন পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ ভাটিয়ারী ৫নং ওয়ার্ড মৌলভীপাড়া আখেরুজ্জামান বাড়ির মো. ইউনুসের স্ত্রী।
নিহতের বড় বোন পারুল আক্তার বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ মাটির সাথে ছিল। এটা কিভাবে আত্মহত্যা হয়? ফারজানা আগের দিন রাতেও সে ফোন করে বলেছে, তার স্বামী, দেবর, ভাসুর এবং তাদের বউরা তাকে নির্যাতন করেছে।
ফারজানার পিতা আবু তাহের বলেন, আমার মেয়ে যদি ফাঁস খেতো, তাহলে পা দুটো কেন মাটিতে লাগানো। তারা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এটা সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
নিহত গৃহবধুর ভাসুর সেলিম উদ্দিন বলেন, পারিবারিক একটা ঝামেলা নিয়ে আমরা সকলে থানায় ছিলাম। আমার ভাইও ছিল চাকুরিতে। বাসায় ছিল আমার দুই ভাইয়ের বউ। আসলে এখন কেমনে কি হইছে আমি কিছু বলতে পারতেছি না। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে আসলে সঠিক বিষয়টি বলতে পারবো।
ফারজানার স্বামী মো. ইউনুস বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে কখনো আমার বা পারিবারের ঝাগড়া হয়নি। আমি ঘরে ছিলাম না, চাকরিতে ছিলাম। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি এসআই আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করেছি। এই মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছি না। গৃহবধূ কি আত্মহত্যা করেছে, না অন্য কোনভাবে মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে সঠিক কারণ জানাতে পারবো।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের আবু তাহেরের চতুর্থ মেয়ের সাথে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের প্রবাসি মো. ইউনুসের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/দুলু/এসএ