চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী এবং কর্ণফুলী এ জে চৌধুরী কলেজের ৪ শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যার থানা মামলা নং-১২/৩৬৮।
এজেহারে বলা হয়, হুকুম দাতার নির্দেশে বেআইনি জনতাবদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ ঘটানো হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করবেন কোতোয়ালী থানার এসআই বাবুল কুমার পাল। মামলার বাদী মো. জাহাঙ্গীর আলম দস্তগীর (৬৬) কর্ণফুলী এ জে চৌধুরী কলেজের সাবেক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও আইনজীবী বলে জানান।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন— কর্ণফুলী এ চৌধুরী কলেজ বর্তমান আব্দুল জলিল চৌধুরী কলেজ এর অধ্যক্ষ মো. জসীম উদ্দিন (৫২), সমীর রঞ্জন নাথ (৪৫), মনোয়ারা বেগম (৪২), শামীমা আক্তার চৌধুরী (৪৭), পাঁচলাইশ মির্জারপুল এলাকার মোস্তফা মো. ইমরান (৩৮), চকবাজার কাপাসগোলা এলাকার মনসুরুল আনোয়ার (৫৮), জয়সেন বড়ুয়া (৫০), সদরঘাট গোসাইডাঙার এম এ সেলিম (৫৫), কাজির দেউড়ি এলাকার আবদুস সালাম, পাঁচলাইশ এলাকার ছোটন দত্ত, জামাল খান এলাকার আবুল কাশেম, চকবাজার এলাকার মোক্তার আহাম্মদ প্রকাশ লেদু, ইলিয়াছ, আবু সৈয়দ, পটিয়ার কাজী মহি উদ্দিন (৫০) ও ভূজপুর থানার মো. ইয়াকুব (৫০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগষ্ট দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মিলনায়তনে আলাপ শেষে কোতোয়ালী থানার পশ্চিমে জনতার সমাবেশে বাদি যোগ দিলে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। বাদির বাম পা রক্তাক্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। বাদির অভিযোগ জনতার ফাঁকে গুলি করে তাঁকে মেরে ফেলতে পরস্পর যোগসাজেসে হামলা করেন।
মামলার এজাহারে দুয়েক জন আওয়ামী লীগ নেতা ও কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তারা সে সব জায়গায় উপস্থিত ছিলেন। আবেদনে পেনাল কোডের ১৪৩, ৩২৩, ৩০৭, ৫০৬/১১৪ ধারায় আর্জি হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক বলেন, ‘মো. জাহাঙ্গীর আলম দস্তগীর বাদি হয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।’
চাটগাঁ নিউজ/এসএ