সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজার চড়া

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে চাল, ডালসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। তা এখনও কমেনি। তবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ফলে দুশ্চিন্তা কাটছে না ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অর্থাৎ মিল ও পাইকারি পর্যায়ে সরবরাহ তদারকি করলে জিনিসপত্রের দাম কমতে পারে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) বিক্রি হয় ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। মাঝারি মানের (বিআর-২৮ ও পাইজাম) চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং সরু বা মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।

নগরের এক রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘এখন পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক। পণ্য আনা-নেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে না। তবু মিলাররা চালের দর বাড়িয়েছেন। সরকার মিলগুলোতে তদারকি করলে দাম কমে আসবে।’

এদিকে এক সপ্তাহ ধরে বাজারে সবজির দাম কমছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কুমড়া ৫০ টাকা ও ফুলকপি ৩০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৮০ টাকা ও সরপুঁটি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগী ২৯০, সোনালী মুরগী ২৪০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

নগরের বকশির হাটের সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবজির দর কমেছে। এ জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরাও দর কমিয়েছেন।’

বাজারে পাকিস্তানি পেঁয়াজ দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকায়। আমদানি পেঁয়াজের কারণে দেশি পেঁয়াজের দর সামান্য কমেছে। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে এর কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। তবে গতবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর আলু-পেঁয়াজের দর বেশি। এছাড়া রসুন ২১০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

ডিমের ডজন ১৭০ টাকা থেকে কমে সম্প্রতি ১৪৫ টাকা হয়। তবে শুক্রবার ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে।

ইলিশের ভরা মৌসুম এখন। ফলে দাম অনেক কম থাকার কথা। কিন্তু ইলিশের দাম তেমন কমেনি। এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে গুনতে হচ্ছে কমবেশি দেড় হাজার টাকা। আধা কেজি ওজনের ইলিশের দাম পড়ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা।

ক্রেতারা বলেন, চালের দর কমানো বেশি জরুরি। কারণ ভাতের বিকল্প নেই। সবজির মতো চালের বাজার তদারকির দাবি জানান তারা।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top