চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। সেখানে খাবার, পানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য তীব্র হাহাকার চলছে। এর মধ্যেই সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য যেন এই সংকট আরো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীর আলো দেখতে না দেখতেই যুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের।
ইতিমধ্যেই যেসব নবজাতকের জন্ম হচ্ছে তাদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে স্বজনরা। এসব নবজাতক শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করতে রীতিমতো পরিবারগুলোকে লড়াই করতে হচ্ছে। ক্রমাগত বোমা বর্ষণের কারণে সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অর্ধেকের বেশি মানুষই তীব্র খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে।
গত (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পালটা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ইসরায়েলের টানা হামলায় বেশির ভাগ স্থাপনাই ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে বসবাসের মতো পরিস্থিতি আর নেই বললেই চলে। হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
জাতিসংঘের করা এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানা যায়, গাজার অর্ধেকের বেশি মানুষই এখন মাত্র এক বেলা কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে নবজাতক শিশুদের জন্য ডায়াপার বা দুধের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। ফলে পরিবারগুলো এই শিশুদের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। পানির সংকটের কারণে শিশুদের পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এসব শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত আল শিফা হাসপাতাল রক্তগঙ্গায় পরিণত হয়েছে। (WHO) থেকে আরো জানা যায়, গাজার হাসপাতালগুলোতে জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসা সামগ্রী প্রয়োজন। তারা ইতিমধ্যেই আল শিফা হাসপাতালে সামান্য কিছু চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সেখানে খাবার এবং পানির তীব্র সংকট চরম পর্যায়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।