সড়ক ও জনপথের সংরক্ষণাগারে চুরি, ১২ জন ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর ফৌজদারহাট সাগরিকাস্থ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংরক্ষণাগারে ধারাবাহিকভাবে মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু এই সমস্যা নিরসনে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ থাকলেও টিকিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কিছুতেই। কথায় আছে, চোরের দশদিন আর গেরস্থের একদিন। অবশেষে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হল ওই চোরাই চক্রের ১২ সদস্য।

২২ অক্টোবর রাত আনুমানিক পৌানে ৩ টার সময় সাগরিকা বিটাক মোড়স্থ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সংরক্ষিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই চক্রের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে হালিশহর টাস্কফোর্স-৩ আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুল সার্জেন্ট মো. মাসুদ রানা জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সংরক্ষিত এলাকা থেকে চুরির প্রাক্কালে চক্রের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত বার বার এই ধরনের ঘটনার পিছনের শক্তি সম্পর্কে ভালোভাবে তদন্ত করা। অন্যথায় সরকারী এই সম্পদগুলো টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি মালামাল নির্বিঘ্নে চুরি করতে করতে চোরাই চক্রটি বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সুযোগ পেলেই তারা অধিদপ্তরের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে মালামাল চুরি করে সটকে পড়ে। ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের দিন রাতেও চোরাই চক্রটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ফৌজদার হাট সংগ্রহ ও সংরক্ষণ উপবিভাগে ডাকাতি চালায়। এসময় তারা অন্যান্য মালামালের সাথে দপ্তরের নিরাপত্তায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও নিয়ে যায়।

একই চক্রটি ১৭ অক্টোবর মধ্যরাতেও অধিদপ্তরের সংরক্ষণাগারের দেয়াল টপকে ভিতরে ঢুকে মালামাল চুরি করে পালিয়ে যায়। এসময় সুপারভাইজার শাহ মুয়াবিয়া ও নিরাপত্তারক্ষীদেরকে সাথে নিয়ে চোর চক্রের পিছু ধাওয়া করলে চোরের দল তাদের উপর হামলা চালায়। এতে শাহ মুয়াবিয়াসহ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ আহমদ বাদী হয়ে পাহাড়তলি থানায় মামলা করে।

যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইমন আলী (২৫) পিতা-রবিউল হোসেন, সাং-উত্তর কাট্টলী, থানা-পাহাড়তলী, মো. জীবন,পিতা-এনাম, অজ্ঞাত, থানা-পাহাড়তলী, পতেঙ্গা, রুবেল, পিতা-আনু মিয়া, এসকান্দর পাড়া, থানা-পাহাড়তলী, মো. সাইদ, পিতা-মো. জামাল, উত্তর কাট্টলী, থানা-পাহাড়তলী, মো. হাসান, পিতা-মো. আনোয়ার, উত্তর কাট্টলী, মো. রনি, পিতা-মনির আহাম্মদ, এসকান্দর পাড়া, থানা-পাহাড়তলী, মো. আরিফ, পিতা-মজিবুল হক, উত্তর কাট্টলী, থানা-পাহাড়তলী, সঞ্জয় রায়, পিতা-বাদল রায়, উত্তর কাট্টলী, থানা-পাহাড়তলী, মো. রাকিব, পিতা-মহিন উদ্দিন, উত্তর কাট্টলী, থানা-পাহাড়তলী, মো. রায়হান, পিতা-মো. রাসেল, উত্তর কাট্টলী, থানা-পাহাড়তলী, মো. হৃদয় মিয়া, পিতা-নুর নবী, সিটি গেইট, থানা- আকবরশাহ, মো. সুজন মিয়া, পিতা-মানিক মিয়া, উত্তর কাট্টলী, থানা-পাহাড়তলী প্রমুখ।

চাটগাঁ নিউজ/উজ্জ্বল/এসএ

Scroll to Top