চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহতদের স্মরণে চট্টগ্রামে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম নগরের নুর আহমদ সড়কস্থ বিএনপি নিজ কার্যালয়ের সামনে এবং বিকেল ৪টায় নগরের লালদিঘী মাঠে কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে গায়েবে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। ওরা নির্মমভাবে আমাদের পাঁচ ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা হত্যার শাস্তি ও কোটা সংস্কারের আগ পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
বিএনপির গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর কমিটির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এবং সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে জড়ো হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দুপুর থেকেই ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলটি মুরাদপুর এলাকায় পৌঁছালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের মিছিল লক্ষ্য করে চার ব্যক্তিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এতে তিনজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৮০ জন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষে নিহত তিনজন হলেন— কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা এলাকার মো. ওয়াসিম আকরাম, নোয়াখালী জেলার ফারুক এবং ওমরগণি এমইএস কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল আহমেদ শান্ত। এরমধ্যে ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা এলাকার শফিউল আলমের ছেলে। অপরজন ফারুক, তিনি পথচারী ছিলেন। ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ