সিপ্লাস ডেস্ক: নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই আজ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তানজিদ, লিটন ও মিরাজের দাপুটে ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগাররা। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ২৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল লঙ্কানরা। জবাবে ৪৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মিরাজের দল। এই জয়ে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মাতাবে সাকিব-মুশফিকরা।
রান তাড়া করতে নেমে দারুণ খেলেছেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। ৩৯ বলে অর্ধশতক পেয়েছেন লিটন, ৫৩ বলে ফিফটি করেন তানজিদ। লিটন ৬১ রান করে আউট হন। তার বিদায়ে ভাঙে তানজিদের সঙ্গে ১৩১ রানের জুটি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে আউট হন তানজিদ। ৮৮ বলে ১০ চার, ২ ছয়ে ৮৪ রানে থামেন তিনি। তাওহিদ হৃদয় গোল্ডেন ডাক মারেন। ওয়ানডাউনে নেমে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেছেন মিরাজ। মুশফিকের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটিতে তিনি দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। ৩৫ রানে মুশফিক ও ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। ফলে বাংলাদেশ ৮ ওভার হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে দুই ওপেনারে উড়ন্ত সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। যদিও খানিক পরেই কাঁধে অস্বস্তি বোধ করায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন কুশল পেরেরা। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৩৪ রান। এরপর নিশাঙ্কাকে সঙ্গ দিতে আসেন কুশল মেন্ডিস। দুজনের ব্যাটে শতরান পেরিয়ে যায় লঙ্কানরা। তবে দলীয় ১০৪ রানে মেন্ডিসকে(২২) ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নাসুম আহমেদ। পরের ওভারেই সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (২) আউট করেন শেখ মাহেদী।
এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নিশাঙ্কা। এই লঙ্কান ব্যাটারকেও সাজঘরে ফেরান মাহেদী। ৬৪ বলে ৬৮ রানে থামেন নিশাঙ্কা। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা চারিথ আশালঙ্কাকে সাজঘরে ফেরান শেখ মাহেদী। মিরাজের দারুণ ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ১৮ রান করে। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা। শরিফুলের শর্ট বলে তানজিমের ক্যাচে ৩ রানেই ফিরতে হয়েছে তাকে।
রান আউটে কাটা পড়েন করুনারত্নে (১৮)। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে মিরাজের শিকার হন ধনঞ্জয়া। ১০ রানে দুনিথ ও ১১ রানে আউট হন হেমন্ত। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন লাহিরু কুমারা।
বাংলাদেশের হয়ে শেখ মাহেদী ৩৬ রান খরচায় শিকার করেছেন ৩ উইকেট। এছাড়া নাসুম, শরিফুল, তানজিম ও মিরাজ একটি করে উইকেট পেয়েছেন। এদিন ৭ ওভার বোলিং করে উইকেট শূন্য থাকলেও বেশ মিতব্যায়ী ছিলেন তাসকিন আহমেদ।