শুঁটকি পল্লিতে নোনা ইলিশ তৈরির ধুম, শ্রমিকদের দিন রাত ব্যস্ততা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইলিশের সরগরম মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। তাই স্বাভাবিকভাবেই ব্যস্ত সময় কাটছে মৎস্যজীবীদের। কেউ ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সাগরে, কেউ ব্যস্ত বাজারে ইলিশ বিক্রিতে। আবার কারো সময় কাটছে ইলিশ নিয়ে নানান পদ তৈরিতে।

কাঁচা ইলিশের চাহিদা যেমন বিশ্বজোড়া। তেমনি ইলিশের ডিম ও নোনা ইলিশের চাহিদা বা খ্যাতিও রয়েছে সমানে সমান। তাই চট্টগ্রামসহ দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন বাণিজ্য অঞ্চলে ইলিশ সংরক্ষণ, ইলিশ থেকে ডিম বা নোনা ইলিশ তৈরির ধুম চলছে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালী উপজেলা, নগরের আছদগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ শুঁটকি পল্লিগুলোতে ব্যস্ত সময় কাটছে এখন নোনা ইলিশ এবং ডিম সংরক্ষণ কাজে। প্রত্যেক শুঁটকি পল্লিতে শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ইলিশ নিয়েই।

সূত্র জানায়, কর্ণফুলি উপজেলার চরপাথরঘাটা, ইছানগর, জুলধা, ডাঙারচর ও শিকলবাহা এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি শুঁটকি মহাল রয়েছে। অন্যদিকে, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও পতেঙ্গা, আনন্দবাজারে মহাল রয়েছে আনুমানিক ৪০টি। তাছাড়া, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ এলাকাতে রয়েছে অর্ধশতাধিক শুঁটকির আড়ত ও পট্টি। এসব গুদামে নিয়োজিত হাজার হাজার শ্রমিকদের বেশির ভাগই ব্যস্ত এখন ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে।

চাক্তাই শুঁটকি পট্টি এলাকার এন কে ট্রেডার্সে কর্মরত শ্রমিক মনা মিয়া বলেন, ইলিশ মাছকে নোনা ইলিশে পরিণত করার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। নিয়মানুযায়ী ১ কেজি ইলিশ মাছে ২৫০ গ্রাম লবণ এবং ২ টেবিল চামচ হলুদের গুড়া দরকার হয়। ইলিশ মাছ পেট কেটে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ১ ঘণ্টার জন্য পানি ঝরাতে হবে। পানি ঝরানো হয়ে গেলে মাছের গায়ে খুব ভালোভাবে হলুদ-লবণের মিশ্রণটি মিশিয়ে লাই বা হারাংয়ের (বাঁশের তৈরি ঝুড়ি) মধ্যে বা পরিস্কার কোন জায়গায় সারি সারি করে রেখে দিতে হবে। তারপর লবণ পানি ঝরে গেলে রোদে শুকাতে হবে।

চাটগাঁ নিউজ/ উজ্জ্বল/এসএ

Scroll to Top