চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিগুলোর সঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকেরা একাত্মতা ঘোষণা করছেন। যত দিন আমাদের ছাত্রদের ন্যায্য দাবি আদায় হবে না, তত দিন আমরা অভিভাবকেরা রাজপথে থাকবেন ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘নারী সমাবেশে’ এ ঘোষণা দেন বলেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের সচেতন অভিভাবকেরা। এ সময় তাঁরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের নির্বিচার হত্যা, হামলা, গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেন।
নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি ও সমাবেশের সমন্বয়ক আসমা আক্তারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুন্নাহার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়মা আলম, নাসরিন আকতার, নগরের দুটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক পূরবী চক্রবর্তী, নাসিমা সিরাজি, সমাজকর্মী শাহীন শিরীন, অভিভাবক নুরুন নাহার প্রমুখ।
শিক্ষকেরা বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের একটি মাত্র দাবি ছিল, কোটা সংস্কারের দাবি। তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে সে দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু সে দাবিকে তাচ্ছিল্য করে উপেক্ষা করলেন, প্রতিহত করার ঘোষণা দিলেন। তার ফলে আমাদের সন্তানেরা রাস্তায় মরেছে। যে শিশু এসবের কিছুই বোঝে না, তারাও মারা গেল। এরপর নির্বিচার গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
হত্যার বিচার চেয়ে অভিভাবকেরা বলেন, তরুণদের হত্যা করা মানে একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া। এসব হামলার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।
অভিভাবক ও শিক্ষকেরা বলেন, ‘একটি কিশোরকে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছাত্র পরিচয়ে পেলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। আমাদের সন্তানদের হত্যার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালানো বন্ধ করতে হবে।’
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল অভিভাবকদের সঙ্গে যোগ দেয়। এ সময় তাঁরা হত্যা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে সমাবেশে যোগ দেন।
পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সমাবেশ থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরের চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, কোতোয়ালি হয়ে নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ