সিপ্লাস ডেস্ক: কক্সবাজারের দুই উপজেলার নির্দিষ্ট স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে ইয়াসিদ। আমেরিকান সংস্থা bill cook Foundation এর আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সমস্যার কারণে ঝরে পড়া সম্ভাব্য ৫০জন শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার দায়িত্ব নিবে ইয়াসিদ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে কক্সবাজার সদর উপজেলার ছনখোলা মডেল হাই স্কুলের ১৫ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে ইয়াসিদ।
প্রাথমিক স্তরে শতভাগ শিশু ভর্তি হলেও মাধ্যমিক স্তরে ভর্তি হওয়ার আগেই কিছু সংখ্যক ঝরে যায় আবার মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়নকালীন সময়ও অনেকে ঝরে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার পিছনে রয়েছে নানাবিধ কারণ তার মধ্যে প্রধান হলো পারিবারিক অস্বচ্ছলতা, অভিভাবকের অসচেতনতা। বিশেষ করে করোনা মহামারি পর থেকে মধ্য ও দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা পরিবারগুলো হাল টানতে হিমশিম খাচ্ছে।
জরিপ করে যেসব শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন তাদের তালিকাভুক্ত করা হয় এবং সমস্যার ধরণের উপর ভিত্তি করে অর্থ এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়। তালিকাভুক্ত করা শিক্ষার্থীদের সমস্যারগুলো ছিলো শিক্ষার্থীর পিতার মৃত্যু ও মা অন্যের বাসায় কাজ করে, মা-বাবার ডিভোর্স হয়ে গেছে ফলে তাকে থাকতে হচ্ছে খালু বা নানার বাসায়, বাবা দিনমজুর আর সন্তান সংখ্যা বেশি, ব্যবসায় ক্ষতি, করোনা মহামারির সময় চাকরি হারিয়েছে ইত্যাদি। তাই এই সমস্যাগুলের কারণে পড়ালেখা খরচ বহন করতে পারতেছে না পরিবারগুলো।
আবার দেখা যাচ্ছে এই সমস্যার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ইত্যাদির শিকার হচ্ছে।এসব সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে ইয়াসিদের এই কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া।
ইয়াসিদের নির্বাহী পরিচালক কাইছার হামিদ বলেন, “আমি মনে করি, যদি ঝরে পড়া রোধ করতে হয় তাহলে গরীব, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা দিতে হবে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা শেষে তাদের কর্মের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং কারিগরী শিক্ষায় পারদর্শী করতে হবে। আমাদের অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে।”