শিক্ষার্থী হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ঢাকার সাভার উপজেলার গেন্ডা এলাকায় ছয় বছর আগে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদের জেরে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ খানকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাজিয়া নাহিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডিতরা হলেন মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, শিমুল হাওলাদার ওরফে শ্যামল, শামীম আলী, ইমরান হোসেন, ফয়সাল আহম্মেদ মোত্তাকিন, লিটন ওরফে রইচ।

রায় শেষে আদালত আসামিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপিলের সুযোগ আছে। আপিল করবেন। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।’

রায়ের আগে আসামিরা জামিনে ছিলেন। আজ আসামি ফয়সাল আদালতে হাজির হননি। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অপর ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরর বাবা আতাউর রহমান খান বলেন, ‘ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ভুক্তভোগী মারুফ খানের বান্ধবী মুনাকে ইভটিজিং করত। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারা মুনাকে ইভটিজিং করে। মারুফ এর প্রতিবাদ করে। পরে সে মুনাকে রিকশায় করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

সন্ধ্যায় গেন্ডায় আব্দুর রহমানের মোটরসাইকেলের গ্যারেজ সংলগ্ন আসামিরা মারুফের ওপর হামলা চালায়। মঞ্জু তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মারাত্মক আহত হয় মারুফ। তাকে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডাক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে আসার পথে মারা যায় মারুফ।

এ ঘটনায় মারুফের ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক ২২ আগস্ট সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ২৩ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

চাটগাঁ নিউজ/এমেকএন

Scroll to Top