শপথ নিলেন চসিকের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত

জল্পনা কল্পনার অবসান

নিজস্ব প্রতিবেদক: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কয়েকবার শপথ অনুষ্ঠান পিছিয়ে অবশেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তাঁকে শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

নির্বাচনের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে মেয়র নির্বাচিত হয়ে আজ শপথ নিয়ে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম ইউসুফ এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাছাড়া তাঁর শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগেরদিন শনিবার থেকেই ঢাকায় অবস্থান করেন চট্টগ্রামের অনেক নেতাকর্মী।

ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী জানান, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতা, মেয়রের আত্মীয়-স্বজনসহ ২৭ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতে যান চসিক মেয়র। এতে চট্টগ্রাম থেকে আগত নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।

জানা গেছে, আগামী ৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে সকালে রেলপথে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দিবেন ডা. শাহাদাত। দুপুরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে দলীয় নেতারা ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবেন। পরে সেখান থেকে হযরত আমানত শাহ এবং হযরত বদর শাহ (রহ.) এর দরগাহ জেয়ারত করবেন তিনি। এরপর তিনি সিটি করপোরেশনের নতুন ভবনে  একটি মিটিংয়ে উপস্থিত থাকবেন। পরে সেখানেই সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন।

সেখান থেকে বাদে আসর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে যাবেন। সেখানে খতমে কোরআন ও খতমে গাউছিয়া শেষে মোনাজাতে অংশ নিবেন। পরে সেখান থেকে বাসায় ফিরবেন। আর পরদিন থেকে নিয়মিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অফিস করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দিনভর গোলাগুলি, সংঘর্ষ, হামলার ঘটনার মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। এ সময় নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে ফলাফল বাতিল ও পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেছিলেন বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ওই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ৯ জনকে বিবাদী করে মামলা করেন নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।

গত ১৭ অক্টোবর ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল বিজয়ী ঘোষণা করেন। এর পর সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত করে সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে মেয়রদের অপসারণ করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করায় চসিক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে আইনি বাধা পুরোপুরি কেটে যায় ডা. শাহাদাতের।

চাটগাঁ নিউজ/উজ্জ্বল/জেএইচ

Scroll to Top