নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে জোরপূর্বক কবরস্থানের জায়গা দখলের চেষ্টা ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
(১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। একইদিন ওই এলাকার মৃত মো. ইসমাঈল চৌধুরী পুত্র মো. জলিল চৌধুরী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে পুকুর পাড়ে প্রায় দেড়শ বছরের পুরাতন পারিবারিক কবরস্থান দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা কবরস্থানে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। বাঁধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করার চেষ্টা করেন। এছাড়া মিথ্যা মামলায় দিয়ে হয়রানী করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি প্রদান করেন। এছাড়া অভিযুক্তরা কবরস্থানের বাউন্ডারী ওয়াল থেকে নেইমপ্লেটও তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, উত্তর আমিরাবাদ চৌধুরী পাড়া সুফি পুকুর উত্তর পাড় চৌধুরী পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও সুফিয়া নুরিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। মসজিদ মাঠের সামনে সুফি পুকুরের পূর্ব পাড় প্রায় ৬০ ফুট দৈর্ঘ ও আড়াইশ ফুট লম্বা দেড়শত বছরের পুরনো কবরস্থানটি আজ জবরদখলের পায়াতারা চলছে। এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরব্বি মরহুম সুলতানা আহমদ চৌধুরীর পুত্র জাকির হোসেন চৌধুরীর পারিবারিক কবরস্থান। যে কবরস্থান শুয়ে আছেন এ বংশের পূর্ব পুরুষরা।
পৌত্রিক সম্পত্তি মালিক জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, র্দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে বিজ্ঞ জজ আদালত চট্টগ্রামে মামলা বিচারাধীন থাকার সত্ত্বেও বিবাধী অর্থ ওয়াল ও সম্পত্তি লোভী হওযা আমাদের সাথে সবসময় প্রভাব বিস্তার করে দেড়শত বছরের পুরনো পারিবারিক কবরস্থান জবরদখল করা চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার ও পরিবারের নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। শান্ত প্রিয় এলাকায় আমাদের উদ্দেশ্য করে নানা রকম গালিগালাজ মেরে ফেলের হুমকি দিযে সংঘর্ষ ও খুন মত একটি আশঙ্কায় ঘটনা তারা যেকোনো সময় করে পারে।
এ পুরোনো কবরস্থান আমাদের নামে চুড়ান্ত আর.এস ও বিএস রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইত্তোমধ্যে আমাদের পৌত্রিক সম্পত্তি পুরোনো পারিবারিক কবরস্থান রক্ষার জন্য দেয় পাকা দেওয়ালে আমার বাবা মরহুম সুলতানা আহমদ চৌধুরীর নামে ৩০ বছর ধরে থাকা নেমপ্লেটে ভেঙে দেয় সীমানা থাকা ৫ শত মত ফলজ গাছ কেটে জবরদখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রবাসী খলিল চৌধুরী টেলিফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, সুফি পুকুর ও পুকুরের পাড় আমাদের মুরছি পৌত্রিক সম্পত্তি। চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদের সামনে ও মসজিদ মাঠের পূর্বে পাশে পুকুরের পূর্ব পাড় পুরোনো দেড়শত বছরের পারিবারিক কবরস্থানটি আমাদের।
কবরস্থানের সীমানা থাকা গাছ কেটে ফেলা ও পাকা দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে এলাকায় উশৃঙ্খলা ও অশান্ত সৃষ্টি করছে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা করতে পারে অভিযুক্ত বিবাদীগণ। মরহুম কবির আহমদ চৌধুরী, মরহুম মতিউর রহমান ও মরহুম শফিকুর রহমানের নামে তিনটি দলিলের মাধ্যমে সমস্ত পুকুরের অংশ বিক্রয় করে দিয়েছেন বিবাদী তথা অভিযুক্তদের দাদা মৃত মোখলেছুর রহমান ও পিতা মৃত ওমরমিয়া এবং চাচা মৃতদের নওশামিয়া ।
তিনি আরও জানান,আমি একজন প্রবাসী হিসাবে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমার আকুল আবেদন বিদেশ থেকে টাকা ইনকাম করে নিরহ মানুষদের অত্যাচার, দখলবাজ ও হয়রানি মূলক কাজসহ যাতে অপরাধ করে পালিয়ে যেতে না পারে তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা কপি সংগ্রহ করে রাখার জন্য অনুরোধ থাকবে।
অপরদিকে, একই অভিযোগ এনে স্থানীয় আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে স্থানীয় মোরশেদুল আলম, খোরশেদ আলম ও শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম ইউনুচ জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বৈঠকের জন্য অভিযুক্তদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।