চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি স্থায়ীভাবে বাতিলের দাবিতে রাজধানীর কারওয়ানবাজার রেললাইনে অবস্থান নিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১২টার পর কারওয়ানবাজার এলাকায় আন্দোলনে নামতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ কারওয়ানবাজার রেললাইনে গিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় রেল লাইনের ওপর কাঠ ফেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রেললাইনে দাঁড়িয়ে ও বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন
ঢাকা রেলওয়ে থানা কমলাপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাখালী আমতলা লেভেল ক্রসিং, বনানী চেয়ারম্যান বাড়ির পাশাপাশি ও কারওয়ান বাজারে রেললাইনে অবস্থান নিয়েছেন। দুপুর ১২টার থেকে তারা এখন পর্যন্ত রেললাইনের ওপরে বসে আছেন। দুই পাশেই রেল চলাচল বন্ধ আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।
এর আগে গত ৬ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দেন, রোববার বিকেল ৩টা থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালিত হবে। শুধু শাহবাগ মোড় নয় ঢাকা শহরের সায়েন্সল্যাব, চানখারপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিল প্রতিটি পয়েন্টে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেমে আসবেন।ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা জেলায়–জেলায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহাসড়কগুলো অবরোধ করবেন। রোববার শিক্ষার্থীরা চার দফা বাদ দিয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। তা হলো- সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য আজ ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হয়, আপাতত আগের মতোই বহাল থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। তাই পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজও হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলন।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে