রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ রাঙ্গুনিয়ায় পাগলা মামার ওরশে কিশোর গ্যাংয়ের মারামারিতে ২ কিশোর ছুরিকাঘাত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত বুধবার (২০ মার্চ) উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পাগলা মামার ওরশে রাত ১টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে চন্দ্রঘোনা এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ইমাম হোসেন (১৮) ও মো. মিনহাজ (১৯) নামে দুই যুবক গুরতর আহত হয়।
এই ঘটনায় রোববার (২৪ মার্চ) বিকালে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন আহতদের স্বজনরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মরিয়মনগর ইউনিয়নের পাগলা মামার ওরশে পূর্ব শত্রুতার জেরে কিশোর গ্যাং ছুরি হাতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে চন্দ্রঘোনা কদমতলী আক্কেল আলী বাড়ি এলাকার প্রবাসী আহমদ হোসেনের একমাত্র সন্তান ইমাম হোসেন এবং চন্দ্রঘোনা আধুরপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হক মেম্বারের ছেলে মো. মিনহাজ ছুরিকাঘাত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ইমাম হোসেনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তার একটি পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। অন্যদিকে মিনহাজকেও উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এই ঘটনায় গুরুতর আহত ইমাম হোসেনের চাচা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৬ থেকে ৭ জনকে বিবাদী করে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, একদল চিহ্নিত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ঘটনার একদিন আগে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় তার পুত্র জয়নাল আবেদিনকেও শ্বাসরুদ্ধ করে প্রাণ নাশের চেষ্টা চালিয়েছিল। পরেরদিন ওরশে তাদের পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছুরিকাঘাতে তার ভাতিজাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তার ভাইয়ের একমাত্র পুত্র সন্তানকে একটি পা হারিয়ে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে।
অন্যদিকে আহত অপর কিশোর মো. মিনহাজের পিতা মোজাম্মেল হক জানান, ইমাম হোসেনকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমার সন্তানকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ফুটবল খেলার একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে একটি বিরোধের সৃষ্টি হয়। এটির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি ছেলেকে ঢাকার উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়েছেন। এই ঘটনায় তিনিও আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম চাটগাঁ নিউজকে জানান, ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া বলে তিনি জানান।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর