রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে পৌরসভার টোল আদায় কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আশঙ্কাজনক আহত দুজন হলেন- ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সদস্য মান্না। তাদের বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি দুজনের মধ্যে মো. ইব্রহিম খলিল (৩৬) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঘাইছড়ি থানা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুদ্দিন ও বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রহমতুল্লাহ খাজা সমর্থকদের বাঘাইছড়ি পৌরসভার টোল আদায় বিষয়ে কথা কাটাকাটির জেরে প্রথমে সামান্য মারামারি হয়। পরে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের কাছে খবর পেয়ে উভয় গ্রুপের শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোঠা নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ সময় আহত হয় চারজন। পরে পুলিশ বিজিবি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে উভয় গ্রুপ মারামারি বন্ধ করলেও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বাঘাইছড়ি পৌরসভার টোল আদায় কেন্দ্রটি গত জুন মাসে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রহমানসহ ১৪ জনের একটি গ্রুপ ১৮ লাখ টাকায় পৌরসভার কাছ থেকে ইজারা নেয়। তারা দুইমাস টোল আদায়ের পর সরকার পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় টোল আদায় কেন্দ্রটির দখল নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে স্থানীয় মুরুব্বিদের মধ্যস্থতায় ছাত্রলীগ নেতা রহমান গং ১৫ লাখ টাকায় টোল কেন্দ্রটি সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুদ্দিনের কাছে বিত্রিু করলে তারা টোল আদায় শুরু করে। কিন্তু শুক্রবার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমতুল্লাহ খাজা টোল কেন্দ্রটি কিনে নেওয়ার বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। কথাকাটাকাটির জেরে উভয় গ্রপের মধ্যে মারামারি হয়। গুরুতর আহত মোশাররফ ও ইব্রাহীম নুরুদ্দিনের সমর্থক।
এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহমেদ মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুইটি ছেলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/আলমগীর/এসএ