রাঙামাটিকে “বিশুদ্ধ বাতাসের শহর” ঘোষণার প্রস্তাব

রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ একিউআই বেসিকস ফর ওজোন এন্ড প্রাক্টিকেল পলিওশন এর তথ্যানুসারে, কোন একটি অঞ্চলের বিশুদ্ধ বাতাস পরিমাপক সূচক হচ্ছে- শূণ্য থেকে ৫০ পর্যন্ত গুড এয়ার কোয়ালিটি, ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত মডরেট এয়ার কোয়ালিটি, ১০১ থেকে ১৫০ পর্যন্ত আনহেলদি এয়ার কোয়ালিটি এবং ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত সেনসেটিভ গ্রুপ আনহেলদি কোয়ালিটি হিসেবে পরিমাপ অনুসারে রাঙামাটি শহরে ১৭ থেকে ২০ এর মধ্যে গুড এয়ার কোয়ালিটি বিদ্যমান থাকে। এই পরিমাপের আলোকে রাঙামাটি শহরকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাবনা উঠেছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় উপস্থিত সভাসদগণের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান এই প্রস্তাবনাকে সাধুবাদ জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট্ কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সমীক্ষা করে রাঙামাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারনা নিয়ে রাঙামাটি শহরকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবো।

সভায় রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা কতৃক পর্যটন শহর রাঙামাটিকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহরের স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হলে সকলেই এই প্রস্তাবনাকে সাধুবাদ জানায়।
রাঙ্গামাটির ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানান,
নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর কাপ্তাই হ্রদ। স্বচ্ছ জলের বুকে ভাসে সারি সারি নৌকা। বন-বনানী, ঝর্ণা আর সবুজ পাহাড়ে বেষ্টিত দেশের সর্ববৃহৎ পার্বত্য রাঙামাটি জেলা। প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরপুর অপূর্ব পাহাড় ঘেরা এই জেলার নির্মল প্রকৃতি, বিশুদ্ধ-দূষণমুক্ত শীতল বাতাস সকলের প্রাণ জুড়ায়। তাই রাঙামাটি শহরকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব উঠেছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন খান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডাঃ নূয়েন খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জোবাইদা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহামদ শফি, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমাসহ সংশ্লিষ্টরা।

সভায় জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সন্ত্রাস ও নাশকতা, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং, জেলার স্বাস্থ্য সেবা, মাদক, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন, পলিথিন ব্যাগ বন্ধসহ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনাসহ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

১৯৮৯ সালে নরওয়ে সরকার জ্যাপলিন পর্বতের ঢালে ৪৭২ মিটার উঁচুতে নির্মাণ করে ‘জ্যাপলিন অবজারভেটরি’- একটা রিসার্চ স্টেশন, যেখানে বসে বিজ্ঞানীরা দেখেন পৃথিবীর আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা। পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করেন বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ, জলবায়ু পরিবর্তনের গতি-প্রকৃতি আর দূষণের মাত্রা।

চাটগাঁ নিউজ/আলমগীর/ইউডি 

Scroll to Top