চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে সফরকারীদের উড়িয়ে দেয় প্যাট কামিন্সের দল। এরপর পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় চ্যানেল ‘পিটিভি’ হঠাৎ করে চলমান সিরিজের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। যা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে দেশটিতে। পরে এর কারণ হিসেবে মাঠে জুয়া প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারের কথা উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমটি। তারা জানায়, এ ধরনের প্রচারণা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খেলা সম্প্রচার করা হবে না।
তবে টেন স্পোর্টসসহ দেশটির একাধিক চ্যানেলে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দেখানো হচ্ছে। মূলত পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পিইএমআরএ) নিয়ম অনুসারে, খেলা চলাকালে সারোগেট বা ছদ্মবেশী (জুয়া প্রতিষ্ঠানের ছায়ায় অন্য পণ্যের প্রচার) বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যা মানতে গিয়েই পিটিভি সম্প্রচার বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান বলছে, এর আগে পাকিস্তানের কোনো টিভি চ্যানেলে চলমান এই সিরিজের ম্যাচগুলো সম্প্রচার নিয়ে প্রাথমিকভাবে অনিশ্চয়তা ছিল না। পরবর্তীতে টেন স্পোর্টস এই ম্যাচের দ্বিতীয় দিন থেকে খেলা দেখাতে শুরু করে। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল চ্যানেল থেকে প্রচারিত খেলায় মাঠে জুয়া প্রতিষ্ঠানের স্টিকার দেখা যায়। যা স্বাভাবিকভাবে প্রদর্শিত হয় পাকিস্তানের অন্য টিভি চ্যানেলেও। পরবর্তীতে পিইএমআরএ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেয়ে সম্প্রচার থেকে সরে আসে পিটিভি।
এরপরই চ্যানেলটি জানায়, পিইএমআরএ’র নির্দেশনা অনুসারে পাকিস্তানে প্রদর্শিত কোনো অনুষ্ঠানে জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখানো স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের শামিল। যা পিটিভির জন্য পাকিস্তানের চলমান টেস্ট সিরিজ সম্প্রচারের পথে বাধা তৈরি করেছে। একইসঙ্গে সারোগেট বিজ্ঞাপন প্রচারে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে চ্যানেলটি। সে কারণে তারা অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও বিষয়টি সমাধানে আলোচনার কথা জানিয়েছে।
এর আগে পার্থে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ৩৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। পরে মেলবোর্ন টেস্টে আগে ব্যাট করে কামিন্সের দল প্রথম ইনিংসে ৩১৮ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে। ফলে চলমান ম্যাচেও এখন পর্যন্ত তেমন সুবিধাজনক অবস্থানে নেই বাবর-শান মাসুদরা। অজিদের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে ১২৪ রানে।