চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, মেডিক্যালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী হয়েছে।
২০ জানুয়ারি সোমবার হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোটায় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ১৯৩ জনের (যারা কোটায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন) মধ্যে খুবই আনইউজুয়াল হবে যাদের (বাবার) বয়স ৬৭-৬৮ এবং যাদের সন্তান থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে তাহলে সেটা দেখা হবে। এমবিবিএস পরীক্ষায় মূল কোটা থাকবে কি থাকবে না এই নীতিগত সিদ্ধান্তটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি রাষ্ট্রের।
আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি এটি যাচাই করা হবে।
গতকাল রবিবার দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার পাসের হার ৪৫.৬২ শতাংশ। অংশগ্রহণকারী এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদের মধ্যে ১৯৩ জন কোটায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৫৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মোট ৫ হাজার ৩৮০টি আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা ও নাতি-নাতনিদের জন্য ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ৩৯টি আসন সংরক্ষিত। সাধারণ আসনের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক কোটা সংরক্ষিত রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি