চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বিএনপি নেতার বাসভবনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার দলের ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের কাছে অবরুদ্ধ ছিলেন। এসময় সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি গোলাম আকবর খন্দকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে ও এক পর্যায়ে তার গায়ে ধাক্কা দেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷
মীরসরাই উপজেলা বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মনিরুল ইসলাম ইউসুফের বাড়ি গিয়ে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের রোষানলে পড়েন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার।
আজ দুপুর ১২টার দিকে তিনি কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মনিরুল ইসলাম ইউসুফের বাড়ি যান। নেতা কর্মীদের অভিযোগ বাবা বিএনপি নেতা হওয়ায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এলিট সেই বাড়িতেই আত্মগোপনে ছিলেন৷ এ খবরে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা দলে দলে জড়ো হয়ে বাড়িটি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। একই সঙ্গে বাড়ির পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম শামীমের নির্দেশে সেখানে যান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান। পরে তিনি নেতা-কর্মীদের শান্ত করেন৷ দীর্ঘ চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় এই বিএনপি নেতাকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব গাজী নিজাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ নিজের গ্রামের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন, এমন খবর ছিল বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে ওই বাড়ি যান গোলাম আকবর খন্দকার। এ খবর শুনে বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।
তবে গোলাম আকবর খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, মনিরুল ইসলাম ইউসুফ কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মীরসরাই উপজেলা বিএপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি আমাকে চায়ের দাওয়াত দিলে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আজ তাঁর বাড়ি যাই। সেখানে গিয়ে দলের কিছু নেতা-কর্মীর মুখে শুনি তাঁর ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট যুবলীগ নেতা। এসব অভিযোগ কেউ আমাকে আগে দেয়নি।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস