ক্রীড়া ডেস্ক: বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ একটা দৃশ্যই বারবার দেখা গেল। একের পর এক আক্রমণে মালদ্বীপের ডি বক্সে ঢুকছেন বাংলাদেশী ফরোয়ার্ডরা। তৈরি হচ্ছে গোলের সম্ভাবনা, কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে বারবার নষ্ট হচ্ছে গোলের সুযোগ। স্পষ্ট দেখা গেল একজন ক্লিনিক্যাল ফিনিশারের অভাব। শেষ পর্যন্ত সেটাই কাল হলো। মালদ্বীপের বিপক্ষে আলী ফাসিরের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে হেরে ফিফার চলতি উইন্ডো শুরু করল বাংলাদেশ।
মোট কতগুলো সুযোগ মিস করেছে বাংলাদেশ? দ্বিতীয়ার্ধের কথাই বলা যাক। শুরু থেকেই ডানপাশ দিয়ে বারবার আক্রমণে উঠছিলেন মোরসালিন-রাকিবরা। কিন্তু অন টার্গেট শট নিতে পেরেছেন হাতে গোণা কয়টা। সুযোগ হাতছাড়ার মিছিলে দ্বিতীয়ার্ধে সবচেয়ে বেশি দেখা গেল ফরোয়ার্ড মোরসালিনকে। ৭৭ মিনিটে তার দুর্বল শট খুঁজে পায় মালদ্বীপ গোলরক্ষক হুসাইন শরীফের গ্লাভস। ৮৫ মিনিটে আরো একবার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি তিনি।
এই মিসের মহড়ায় অবশ্য দুজন ব্যতিক্রম। প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ে দারুণ একটা নিয়েছিলেন সোহেল রানা। কিন্তু বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে বল। ৭৪ মিনিটে জনির শট ঠেকিয়ে দেন হুসাইন শরীফ।
পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করে এগিয়ে নেন মালদ্বীপের মিডফিল্ডার আলী ফাসির। যদিও এরপর ম্যাচ জুড়ে বেশ কয়েকবার পাল্টা আক্রমণে উঠেও গোলের দেখা পায়নি তারা।
১৬ মিনিটে প্রথম গোল পেলেও, এর আগেই বাংলাদেশকে পাল্টা আক্রমণ করেছিল মালদ্বীপ। তাদের ‘নাম্বার নাইন’ নাইজ হাসান ডি বক্সের বাইরে থেকে বল কেড়ে নেন হৃদয়ের কাছ থেকে। যদিও নাইজের শট ঠেকিয়ে দেন মিতুল। প্রায় তিন মিনিট পর মালদ্বীপের ডি বক্সে দুইবার শট নিয়েও গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এমনকি ২৬ মিনিটেও আরেকটা সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় ফরোয়ার্ডদের ভুলে। ২৯-তম মিনিটে মোরসালিন গোলমখে শট নিলেও তা হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। ৩৩ মিনিটে আরো একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন রাকিব, তবে মালদ্বীপ ডিফেন্ডারের স্লাইডিং ক্লিয়ারেন্সে গোল পাননি তিনি।
এর দুই মিনিট পরই ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। মোরসালিনের নেয়া শটে দারুণ হেড করলেও সেটা গোলপোস্টে রাখতে পারেননি অধিনায়ক তপু।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ