মানিকছড়িতে বাল্য বিয়ে ঠেকিয়ে দিলেন ইউএনও

চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ  কনের বয়স মাত্র ১৫ বছর। আইন অনুযায়ী এই কনে এখনো অপরিণত। কিন্তু পারিবারিক আয়োজনেই এই অপরিণত বালিকাকে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। শুক্রবার বাদ জুমা বিয়ে। বৃহস্পতিবার থেকেই চলছে গায়ে হলুদ, বিয়ের সমস্ত আয়োজন। কনে পক্ষ যথারীতি দুলহার আগমনের অপেক্ষায়। তবে বিধিবাম, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বরের আগে কনের বাড়িতে হাজির মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই কনের মায়ের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে বন্ধ করে দেন বিয়ে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ঢাকাইয়া শিবির নবীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ঢাকাইয়া শিবির নবীনগর এলাকার সুফিয়ার বাড়িতে তার মেয়ের বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। সকাল থেকে দুপুর নাগাদ বরপক্ষের অপেক্ষায় কনেপক্ষের লোকজন। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে থানা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া। পরে কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হন মেয়ের বয়স পনেরো। এরপর ইউএনও সেই বিয়ে বন্ধ করেন এবং ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দেবে না মর্মে মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি মুঠোফোনে ঢাকাইয়া শিবির এলাকায় বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান। এমন গোপন খবরে দ্রুত সেখানে ছুটে যাই এবং মেয়ের বয়স পনেরো হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। বাল্য বিয়ে বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে। বাল্যবিয়ে বন্ধে জনগণের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি 

Scroll to Top