চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় হাফেজখানার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মুজিবুর রহমান (২৮)।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার পরিবারে তাকে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি জানান। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া এলাকার ইমাম হোছাইন (রা.) হাফেজখানায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক একই ইউনিয়নের মইয়্যাদিয়া এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা আজ সকালে উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষককে হামলার উদ্দেশ্যে হাফেজখানায় যায়। তখন এলাকাবাসীরা তাকে আটকে দিয়ে বিষয়টা স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করে। এতে বলাৎকারের ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, রবিবার (১৯ এপ্রিল) আমার ছেলে হাফেজখানা থেকে বাড়িতে আসে। সেদিন সে হাফেজখানায় আর ফিরে যায়নি। আজ সকালে তাকে হাফেজখানায় পাঠানোর জন্য তার মা প্রস্তুত করে দিলেও সে যেতে চাইছিলো না। পরে সে তার মাকে হুজুরের শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি খুলে বলে। এমনকি গত রমজানেও অনেকবার সে ওই শিক্ষকের কাছে বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে জানায়।
অন্যদিকে ভুক্তভোগীর অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, আমি বলাৎকার করেছি এটার কোন প্রমাণ নেই। ছেলেটা কেন আমার নামে অপপ্রচার করছে তা জানিনা। ব্যাপারটি নিয়ে সমাজের গণ্যমান্য মানুষেরা বৈঠকে বসেছে। তারা বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা করছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দিবে আমি তা মেনে নিব।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি চাটগাঁ নিউজকে জানান, যদি ওই শিক্ষক বলাৎকার করে থাকেন তাহলে সমঝোতা বা ধামাচাপা দেওয়ার সুযোগ নেই। যারা এ ঘৃণ্য বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ বলেন, হাফেজখানার এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনাটি শুনেছি। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন