নিজস্ব প্রতিবেদক : শীতের তীব্রতায় সারাদেশের মত চট্টগ্রামও কাঁপছে। গ্রাম-নগর সবখানেই হাড়কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে। সকাল গড়িয়ে বিকাল হয়ে যায়, তবুও সূর্যের দেখা মেলে না। টানা শীত-কুয়াশা ও দিনভর বৈরী আবহাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন কর্মজীবীসহ সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটেখাওয়া লোকজন ও ছিন্নমূল মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অতিরিক্ত শীতে কাজ না পাওয়ায় টান পড়ছে আয়-রোজগারে।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ। বিশেষ করে শিশুরা নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে।
মাঘের শীতের দাপটে যখন বিপর্যস্ত জনজীবন। মানুষ এই কনকনে শীতের যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি পাবে প্রহর গুনছে। এসময় আবহাওয়া অধিদপ্তর সুখবরের পরিবর্তে দিল আরেক দু:সংবাদ। জানুয়ারীর শেষে আবারও আসছে শৈত্যপ্রবাহ।
একইসাথে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে আগামী দুদিনে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
জানা গেছে, সপ্তাহজুড়ে চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কখনো কখনো তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বাড়ে। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, চট্টগ্রামে তাপমাত্রা কম না থাকলেও বাতাসের তীব্রতা থাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। আগামী দুই তিন দিনে তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানায়, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেসময় শীতের তীব্রতা তেমন ছিল না। এরপর থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা নেমে আসে ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একইসঙ্গে দিনের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ যে তাপমাত্রা থাকার কথা তা থাকছে গড়ে ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি কম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকা এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিত চৌধুরী বলেন, ‘এখন যে তাপমাত্রা আছে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও চট্টগ্রামে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। তার প্রধান কারণ হলো বাতাস ও বায়ুর আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকা। হিমালয়ের পূর্বদিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীত বেশি মনে হচ্ছে।’
তিনি জানান, এখন মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ছে। আগামী কয়েকদিন এমন অবস্থা বিরাজ করবে। তারপর তাপমাত্রা বাড়বে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ