সিপ্লাস ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আক্তার বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিনির্মিত হোক আজকের সমাজ। তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী আজীবন শান্তির লালিত বাণীতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। হিংসা-হানাহানি, সাম্প্রদায়িকতা, জাতিগত বিদ্বেষের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি আজীবন মানবতার গান গেয়েছেন।
সোমবার ( ২ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ কর্তৃক আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে উপাচার্য ড. শিরিন আক্তার আরও বলেন, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল। সেই আন্দোলনের আদর্শ আমাদের আজকের বিশ্বে প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস বাণীতে অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাজের সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’ উদ্বোধনী সঙ্গীতসহ অনুষ্ঠানের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক তারেক হাসান ও সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন প্রণব দাশগুপ্ত। উদ্বোধক কবি আবুল মোমেন বলেন, অহিংস আন্দোলনের প্রবক্তা মহাত্মা গান্ধী ও বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু দুটি দেশই প্রতিষ্ঠা করেননি, করেছেন দুটি পৃথক জাতিসত্ত্বা। তাই কোটি কোটি জনগণ তাঁদেরকে নিজ নিজ জাতির পিতার আসনে বসিয়ে সুমহান মর্যাদা দিয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহাত্মা গান্ধীর জীবন আলেকা ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
সেমিনারে কবি, প্রাবন্ধিক ও আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক আবুল মোমেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাপস হোড়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিমুল বড়ুয়া, ডা. উত্তম বড়ুয়া, অধ্যক্ষ সুদীপা দত্ত, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কলামিস্ট মাসুম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ্, প্রকৌশলী প্রদীপ দত্ত, অধ্যক্ষ গণেশ ত্রিপাঠীসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।