ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন বারমাসিয়া চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের শ্মশান ভূমি, মন্দিরের জায়গা ও শ্রমিকের বসতঘরের উঠানে চা গাছ রোপনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অসন্তোষের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে চা শ্রমিকরা।
সোমবার(১৮ নভেম্বর) সকালে বারমাসিয়া চা বাগানের কারখানার মূল ফটকের সামনে বাগানের শত শত শ্রমিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।
জানা যায়, চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর মূল ভূমির ২.৫% চা গাছ রোপন করে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় শ্রমিকের বসতঘর উঠান, চলাচলের রাস্তা, চা শ্রমিকের ব্যবহৃত শতবর্ষী কবরস্থানের জায়গায় চা গাছ রোপন করে বাগান কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে চা শ্রমিকদের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে চারা গাছ না লাগাতে নিষেধ করে চা বাগানের পঞ্চায়ত নেতারা। এসময় শ্রমিকদের সাথে বাগানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বাগানের কর্মকর্তারা চারা রোপনের কাজ বন্ধ রাখে। এর প্রতিবাদে বাগানের সকল শ্রমিক কাজ বন্ধ রেখে ফ্যাক্টরি ও কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
বিক্ষুব্ধ চা শ্রমিকরা বলেন, বাগানের কর্মকর্তারা আমাদের কোন রকম সুযোগ সুবিধা না দিয়ে উল্টো আমাদের কৃষি জমি, উপসানলয়ের জায়গা, বসতবাড়ির উঠান, চলাচলের পথ এমনকি শ্মশানের জায়গা পর্যন্ত দখলে নিয়ে তাদের খেয়াল খুশি মতো চা গাছ রোপন করছে। তারা আমাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে উল্টো শ্রমিকদের জীবনযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
বারোমাসিয়া চা বাগানের পঞ্চায়ত কমিটির সভাপতি অপু কুর্নি বলেন, ‘বাগানের কর্মকর্তারা আমাদের উপর অত্যাচার করছে। তারা আমাদের ন্যায্য অধিকার দিচ্ছেনা। তারা আমাদের শ্মশান ভূমি ও মন্দির নিয়ে নিচ্ছে। এমনকি আমাদের শ্রমিকদের বসতঘরের উঠান ও কৃষি জমিতেও চারা গাছ রোপন করে দিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করলেও তারা তা শুনছে না। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার চায়।
চা বাগানের জেষ্ঠ্য ব্যবস্থাপক উৎপল বিশ্বাস বলেন, চা বাগান কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে। হঠাৎ করে আজ শ্রমিক আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাদের সাথে বসে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করবো।
চাটগাঁ নিউজ/আনোয়ার/ইউডি