চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: জাপান অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। প্রতি বছর সেখানে অন্তত ১ হাজার ৮০০টি ভূমিকম্প হয়, যা গোটা পৃথিবীর ১৮ প্রায় শতাংশ। দেশটির ঘরবাড়িগুলোও সেই মতো করে তৈরি করা হয়। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতিও হয় কম।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে টোকিওর উত্তরে এই ভূমিকম্প হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল পাঁচ দশমিক তিন। তবে এর জন্য কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, টোকিওর উত্তরে কাসুকাবে অঞ্চল থেকে চার কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। কাসুকাবে শহরে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাস করেন।
জাপান জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র। কম্পন মাপার একটি নিজস্ব স্কেল রয়েছে জাপানের। শূন্য থেকে সাত পর্যন্ত সেই স্কেলে এ দিনের কম্পনের মাত্রা ছিল পাঁচ। অর্থাৎ, প্রবল কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরপরই টোকিও এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।
এ ঘটনায় বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
জাপানি বার্তাসংস্থা এনএইচকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে বুলেট ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। টোকিও থেকে ফুকুশিমার রাস্তায় আলো নেই। তাই ট্রেন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
চাটগাঁ নিউজ/এমআর