সিপ্লাস ডেস্ক: চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে এ সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হতে পারে।
আগামী সোমবার (২১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত উদীয়মান বাজার অর্থনীতির ফোরাম অন পিস, সিকিউরিটি, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে যাবেন। ব্রিকস সম্মেলনের বাইরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রিকস সম্মেলনের চেয়ারম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিল রামাফোসা জেনেভায় এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণের ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের মতে, ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ হতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই বছরের ব্রিকস সম্মেলনে সশরীরে উপস্থিত নন।
সম্মেলনে তিনি কার্যত অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ব্রিকস জোট সম্প্রসারণের বিরোধী। এ কারণে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ এখনই ব্রিকসের সদস্য হতে পারছে না।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র এই বিষয়ে সাম্প্রতিক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রিপোর্ট করা খবরটিকে সম্পূর্ণ খণ্ডন করে বলেছেন, ভারত ব্রিকস সম্প্রসারণে বিরোধিতা করছে—এমন তথ্য ভুল। বরং চতুর্দশ ব্রিকস সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতারা ব্রিকস সম্প্রসারণে একমত হয়েছিলেন। এখন ব্রিকস সমন্বয়কারী সব রাষ্ট্রের শেরপারা এ বিষয়ে আলোচনা করছেন। আমরা মনে করি, সব কিছুই ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। নতুন সদস্য রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হলেই নতুন সদস্য নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা এবং আরও কয়েকটি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সম্মেলনের আমন্ত্রণ ৭০টি দেশকে প্রসারিত করা হয়েছে।
আগামী মাসে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে।