আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের লোকসভার অধিবেশনে একাধিকবার বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলাপ তুলেছেন দেশটির সংসদ সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, লোকসভায় (পার্লামেন্ট ) কয়েকজন সংসদ সদস্য বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
তারা জানতে চান, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে কি না। ভারত সরকার এই বিষয়টি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উত্থাপন করেছে কি না। প্রশ্নকর্তার মধ্যে ভারতের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ শশী থারুরও ছিলেন।
এসব প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং সংসদে বলেন, ‘বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে হিন্দু মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনার তথ্য শোনা গেছে। ভারত সরকার এ ব্যাপারে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তাঁতিবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা, সাতক্ষীরার কালী মন্দির থেকে দুর্গাপূজার সময় সোনার মুকুট চুরির ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর প্রার্থনাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া সংখ্যালঘুসহ দেশটির সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।’
এ ছাড়া কংগ্রেস এমপি শশী থারুর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ পাশ্ববর্তী দেশ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সব ভারতীয় নাগরিকই উদ্বিগ্ন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসকনের বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গেই তিনি এই কথা বলেছেন।
ভারতীয় এমপি বিশেষ করে বিজেপির এমপিরা তাদের সংসদে ক্ষোভ ঝাড়েন বাংলাদেশ ইস্যুতে। কেউ কেউ উত্তেজিত ভঙ্গিতে বিরোধী দল কংগ্রেসের বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে চুপ থাকায় সমালোচনাও করেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ